পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, “বাংলাদেশে দখলদারদের নানা ধরন দেখে বিশ্ব অবাক হতে পারে। এত ধরনের ‘ডাকাত’ (দখলদার) পৃথিবীর আর কোথাও নেই।”
রবিবার (২০ জুলাই) রাজধানীর সিআইআরডিএফ মিলনায়তনে ‘বননির্ভর জনগোষ্ঠীকে বন ধ্বংস, বনায়ন অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন ও ভূমি দখল থেকে সুরক্ষা’ বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যে ধরনের ডাকাতদের দেখা যায়, তা বিশ্বের অন্যান্য দেশে বিরল।
নদী দখলদার, ভূমি দখলদার, বন দখলদার, পাহাড় দখলদার—সব রকমেরই আছে এখানে।’
সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (এসইএইচডি) এ কর্মশালার আয়োজন করে। পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের সামান্য পরিবেশগত সম্পদ সংরক্ষণ করা সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।
’ বন থেকে সম্পদ আহরণে পরিকল্পিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘বন থেকে সম্পদ আহরণ অবশ্যই পরিকল্পিতভাবে হতে হবে।’
বিদেশিদের পরামর্শে অতীতে কিছু ভুল প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বৈদেশিক অর্থায়নে দেশে অনেক অপরিকল্পিত বন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, কেবল বনসম্পদের ওপর নির্ভর করে কোনো জনগোষ্ঠীর টিকে থাকা যৌক্তিক নয়। ‘এইভাবে তারা দারিদ্র্যসীমার নিচেই রয়ে যাবে,’ বলেন উপদেষ্টা।
তবে তিনি শিক্ষা গ্রহণ ও বৃহত্তর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার ওপর গুরুত্ব দেন। বলেন, ‘ধীরে ধীরে তারা সমাজের মূল স্রোতে আসবে।’
এ সময় তিনি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্য অক্ষুণ্ণ রাখার ব্যাপারে তার দৃঢ় অবস্থান জানান। বলেন, ‘এদের শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে এবং ধাপে ধাপে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে মূলধারায় যুক্ত করতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর তানজীমউদ্দিন খান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।
এমকে/টিএ