আগামী নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেউ জিততে পারবেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে এমন কোনো নির্বাচনী এলাকা নেই, এনসিপির কেউ জয়লাভ করবেন। তাই তারা পিআর পদ্ধতির নামে নির্বাচন পেছানোর চক্রান্ত করছেন।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কটূক্তি, অন্তর্বর্তী সরকারের নির্লিপ্ততায় সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে রবিবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াবাজারে এক মশাল মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নয়াবাজার মোড় থেকে শুরু হয়ে মশাল মিছিলটি তাঁতীবাজার, গুলিস্তান, পল্টন হয়ে নয়াপল্টন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘জুলাই শহীদদের আত্মা আজ কষ্ট পাচ্ছে। কারণ, শহীদরা কেউ জানতেন না আমাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে কারো মাঝে ক্ষমতার লোভ জাগবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি মানুষের ব্যক্তি বাকস্বাধীনতা আছে।
তার মানে এই নয়, আরেকজনের স্বাধীনতা হরণ করবেন, সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করবেন। এনসিপি আজকে যেভাবে শিষ্টাচারবহির্ভূত কথা বলছেন, সেটিকে গণতন্ত্র বলে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘কক্সবাজারে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ সম্পর্কে নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী যে শিষ্টাচারবহির্ভূত কথা বলেছেন, তার জন্য তাকে ক্ষমা চাইতেই হবে। নতুবা চকরিয়ার মতো সারা দেশে জনগণ তাদের অবাঞ্ছিত করবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজকে দেশে কিছু হলেই এনসিপি-জামায়াত বিএনপির দিকে আঙুল তাক করেন। তারা ভালোমতোই জানেন দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে বিএনপি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে। তাই একেক সময় একেক অযৌক্তিক দাবি জানিয়ে নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছেন।’
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘আজকে জুলাই শহীদের নিয়ে ফায়দা লোটা হচ্ছে। আমি জানতে চাই জুলাই আন্দোলন এনসিপি-জামায়াতের কতজন শহীদ হয়েছেন? এনসিপি নেতারাও ভালোভাবে জানে পর্দার আড়ালে এই আন্দোলন তারেক রহমান তত্ত্বাবধান করছেন এবং বিএনপি ও ছাত্রদল-যুবদলের নেতারা মৃত্যুর অগ্রভাগে ছিলেন।
আজকে ক্ষমতার লোভে তারা বেমালুম ভুলে গেছেন। শুধু তা-ই নয়, তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতেও তাদের বিবেক একটুও কাঁপে না।’
তিনি বলেন, ‘গোপালগঞ্জে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় বিএনপির ৩ জন নিহত হলো। তখন কেন এত প্রতিবাদ হলো না, রাষ্ট্রযন্ত্র কেনো নিশ্চুপ ছিল। এনসিপির সমাবেশকে ঘিরে যে পাঁচটি জীবন গেল, তার দায়ভার কে নেবেন?’
ইশরাক হোসেন আরো বলেন, ‘কুমিল্লার মুরাদনগরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া কী করছেন, তা সবাই অবগত। একের পর খুন হচ্ছে। হত্যা হলেই যাচাই-বাছাই না করেই বিএনপির ওপর দোষ চাপানো হয়। আর যখন দেখে এখানে নতুন একটি দলের সম্পৃক্ততা রয়েছে, তখন মিডিয়াও নিশ্চুপ হয়ে যায়। মুরাদনগরে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর এখন যত নির্যাতন চলছে, তা আওয়ামী লীগ আমলেও হয়নি।’
এসএন