দলবদলের বাজারে ঝড় তুলেছে লিভারপুল। একের পর এক ব্লকবাস্টার দলবদলে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে প্রিমিয়ার লিগের নতুন চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমে ১২৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে লেভারকুসেন থেকে ফ্লোরিয়ান রিটজকে অ্যানফিল্ডে নিয়ে এলো তারা। এবার আরও একটি প্রায় শত মিলিয়ন ইউরোর দলবদলের দ্বারপ্রান্তে অলরেডরা। বুন্দেসলিগার আরেক ক্লাব আইনট্রাখট ফ্র্যাঙ্কফুর্ট থেকে স্ট্রাইকার দলে ভেড়াচ্ছে তারা।
দিয়োগো জটার অকাল প্রয়াণে স্ট্রাইকার সংকটে পড়া লিভারপুলের প্রথম পছন্দ ছিল নিউক্যাসল ইউনাইটেডের অ্যালেক্সান্ডার ইসাক। এই সুইডিশ স্ট্রাইকারের জন্য ১২০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করতে প্রস্তুত ছিল অলরেডরা। কিন্তু ইসাকের গায়ে 'নট ফর সেল' ট্যাগ লাগিয়ে রেখেছে তার ক্লাব।
ফলে নতুন স্ট্রাইকারের খোঁজে অলরেডদের হাত বাড়াতে হয়েছে জার্মানিতে।
বুন্দেসলিগার ক্লাব আইনট্রাখট ফ্র্যাঙ্কফুর্টের স্ট্রাইকার হুগো একিটেকে ছিল লিভারপুলের দ্বিতীয় পছন্দ। ইসাককে দলে ভেড়াতে ব্যর্থ হয়ে ২৩ বছর বয়সী একিটেকেকে দলে ভেড়াচ্ছে লিভারপুল। ফ্রান্সের এই তরুণ স্ট্রাইকারকে ৯০ মিলিয়ন ইউরোর (১২৭১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা) বেশি দামে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়নদের কাছে বিক্রি করতে রাজি হয়েছে ফ্র্যাঙ্কফুর্ট। তবে বিভিন্ন শর্ত পূরণস্বাপেক্ষে এই মূল্য দাঁড়াতে পারে ৯৫ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ১৩৪২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা) পর্যন্ত।
একিটেকেকে যে ফ্র্যাঙ্কফুর্ট লিভারপুলের কাছে বিক্রি করতে সম্মত হয়েছে তা নিশ্চিত করেছে দ্য অ্যাথলেটিকের সাংবাদিক ডেভিড অর্নস্টেইন। এছাড়াও ফ্যাব্রিজিও রোমানোও এমনটাই জানিয়েছেন।
একিটেকে শেষ পর্যন্ত এই দামে লিভারপুলে যোগ দিলে সেটি ফ্র্যাঙ্কফুর্টের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি দলবদলের রেকর্ড ছুঁবে। এর আগে র্যান্ডল কোলো মুয়ানিকে পিএসজির কাছে ৯৫ মিলিয়ন ইউরোয় বিক্রি করেছিল বুন্দেসলিগার ক্লাবটি। এছাড়া শীতকালীন দলবদলে ওমর মারমুশকে ম্যানসিটির কাছে ৭৫ মিলিয়ন ইউরোয় বিক্রি করেছিল তারা।
লিভারপুল এক আগে একিটেকের জন্য ৭০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। তবে ক্লাবটি সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল।
২০২৪ সালে পিএসজির কাছে থেকে ১৬.৫ মিলিয়ন ইউরোয় একিটেকেকে কিনে নেয় ফ্র্যাঙ্কফুর্ট। ফ্র্যাঙ্কফুর্টের জার্সিতে সবশেষ মৌসুমে লিগে ১৫ গোল ও ৮ অ্যাসিস্ট করেছেন এই ফরাসি। এই পারফরম্যান্সে ভর করে তার দল বুন্দেসলিগায় তৃতীয় হয়েছে। আক্রমণভাগের যেকোনো পজিশনে খেলতে পারেন একিটেকে। যা তাকে দলবদলের বাজারে হটকেকে পরিণত করেছে।
এমআর/টিএ