কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে ওএমএসের (খোলা বাজারে বিক্রি) মাধ্যমে আলু বিক্রির চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (২১ জুলাই) সচিবালয়ে কৃষি খাতের অগ্রগতি ও সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, এবার কিন্তু কৃষক আলুর দাম পাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি কৃষক যাতে আলুর দাম পায়। এজন্য ওএমএসের মাধ্যমে যাতে আলুটা দেয়া যায় এজন্য আমরা চেষ্টা করতেছি। ওএমএসের মাধ্যমে যাতে আলুটা দেয়া যায়। কৃষক যদি পণ্যের দাম না পায় পরবর্তী সময় কিন্তু তারা এটি উৎপাদনের দিকে যাবে না। এজন্য চেষ্টা করতে হবে কৃষক যাতে ন্যায্য দামটা পায়।
পেঁয়াজের দাম প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, গতবার যে পরিমাণ পেঁয়াজের দাম ছিল। এবার কিন্তু কৃষক অনেক বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন করেছে।
পেঁয়াজ উৎপাদন বেশি করায় এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেও কিন্তু বাজারটা মোটামুটি স্থিতিশীল আছে। এগুলো কিন্তু কৃষকেরই অবদান।
গম আমদানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চাহিদার তুলনায় দেশে পর্যাপ্ত গম উৎপাদন হয় না। তাই বাংলাদেশে সব সময় আমদানি করতে হয়।
উপদেষ্টা আরও বলেন, সারের লাইসেন্স নিয়ে যারা আগে ঝামেলা করেছে, তাদের বাদ দেয়া হচ্ছে। এখানে নতুন করে লাইসেন্স দেয়া হবে। সারের লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যদেরকে বিবেচনায় নেয়া হবে।
এখন থেকে রাজনৈতিক বিবেচনায় কোন ডিলারশিপ দেয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের কোনো রাজনৈতিক বিবেচনা নেই। তাই যারা ভালো লোক তাদেরকেই ডিলারশিপ দেয়ার চেষ্টা করা হবে। এজন্য শিগগিরই একটি নীতিমালা করা হবে। নীতিমালার আওতায় ডিলারশিপ দেয়া হবে।
সারের কোনো মজুতদার নেই উল্লেখ করে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, দেশে সারের কোনো ঘাটতি নেই। আগামী নভেম্বর পর্যন্ত সারের কোনো ধরনের সংকট হবে না। বিশ্ববাজারে সারের দাম বাড়তি থাকায় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। যাতে কম দামে কেনা যায়।
এমআর/টিকে