ইংল্যান্ড নারী ফুটবল দলের ডিফেন্ডার জেস কার্টার জানিয়েছেন, ইউরো ২০২৫ শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি অনলাইনে বর্ণবাদমূলক আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। এর প্রতিবাদে টুর্নামেন্ট চলাকালীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে বিরতি নিচ্ছেন তিনি।
২৭ বছর বয়সী কার্টার ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ভক্তরা পারফরম্যান্স নিয়ে মতামত দিতে পারে, কিন্তু কারও জাতিগত পরিচয় কিংবা চেহারা নিয়ে আক্রমণ করা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। নিজেকে রক্ষা করতে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’
২৭ বছর বয়সী কার্টার টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের চারটি ম্যাচেই শুরু থেকে খেলেছেন। তবে বৃহস্পতিবার সুইডেনের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথমার্ধে দুটি গোল হজম করে ইংল্যান্ড। সে ম্যাচে তার পারফরম্যান্স নিয়ে কিছুটা সমালোচনা হয়।
মঙ্গলবার জেনেভায় সেমিফাইনালে ইতালির মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড।
চলমান ইউরোতে প্রতিটি ম্যাচ শুরুর আগে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা ‘বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে’ হাঁটু গেঁড়ে বসত। তবে এই ম্যাচে তারা সেটা করবেন না।
দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘বর্ণবাদ মোকাবেলায় নতুন পথ খুঁজে বের করতে হবে। যারা অনলাইনে বিষ ছড়াচ্ছে, তাদের আইনের আওতায় আনা জরুরি।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার এই ঘটনা নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘ফুটবল বা সমাজে বর্ণবাদের কোনো স্থান নেই। আমি জেস কার্টার এবং লায়নেসদের পাশে আছি।’
উয়েফাও এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ফুটবলে বা সমাজে, সরাসরি বা অনলাইনে, বর্ণবাদ ও বৈষম্য কোনোভাবেই সহ্য করা যায় না। আমরা জেসের পাশে আছি।’
টিকে/