যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যেই বছরের প্রথম ৬ মাসে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে চীন। আজ সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিক্স (এনএসবি)।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বছরের প্রথম তিন মাসে চীনের অর্জিত প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৪ শতাংশ এবং দ্বিতীয় তিন মাসে অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত অর্জিত প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ২ শতাংশ। এই হিসেবে ছয় মাসে গড় হিসেবে দেশটির অর্জিত প্রবৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।
চীনের এই প্রবৃদ্ধি এমনকি বিশ্বের বৃহত্তম ঋণদাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকের অনুমানকেও ছাড়িয়ে গেছে। কারণ বিশ্বব্যাংক কিছুদিন আগে এক বিবৃতিতে বলেছিল যে ২০২৫ সালের গোটা বছরে চীনের প্রবৃদ্ধি হবে সর্বোচ্চ ৪ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ২০২৬ সালে তা নেমে আসবে ৪ শতাংমে।
অবশ্য এই অনুমান একেবারে ভিত্তিহীন ছিল না। চীনের একটি বড় রপ্তানি বাজার যুক্তরাষ্ট্র এবং গত এপ্রিল মাসে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ‘শুল্কযুদ্ধে’ জড়িয়ে পড়ে বেইজিং। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক পর্যায়ে চীনা পণ্যের ওপর ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছিলেন।
পরে জুন মাসে অবশ্য বর্ধিত শুল্ক কার্যকর মুলতবি করে ট্রাম্প প্রশাসন, তবে সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ আগামী ১২ আগস্ট শেষ হচ্ছে।
অবশ্য ১২ আগস্ট মেয়াদ শেষ হলেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের ফের ‘বাণিজ্য যুদ্ধে’ জড়িয়ে পড়ার সম্ভাব্যতা কম। কারণ এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে বিরল খনিজ উপাদান রপ্তানি সংক্রান্ত নীতিমালা শিথিল এবং যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি এআই চিপস আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে চীন।
যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপের সঙ্গেও সমঝোতায় এসেছে চীন। ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)-এর সঙ্গে নতুন চুক্তি অনুসারে, আগামী ১ আগস্ট পর্যন্ত ইউরোপের বাজারে চীনের তৈরি বৈদ্যুতিক যানবাহন শুল্কমুক্ত সুবিধা ভোগ করবে। এর বিনিময়ে নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজারে ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোর তৈরি বৈদ্যুতিক যানবাহনগুলোতে শুল্কছাড় দেবে বেইজিং।
তাছাড়া ইউরোপে বিরল খনিজ পদার্থ রপ্তানি সংক্রান্ত একটি চুক্তিও ইইউর সঙ্গে স্বাক্ষর করেছে চীন।
সূত্র : আরটি
এমকে/এসএন