রাজধানীর উত্তরা এলাকায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারিয়েছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মেয়ে রজনী খাতুন (৩৭)।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বিমানটি বিধ্বস্ত হলে ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হন রজনী। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রজনী মটমুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এবং আলমডাঙ্গার হারদী কৃষি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদের মেয়ে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর উত্তরা এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন তিনি। তার স্বামী ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তাদের একমাত্র মেয়ে ঝুমঝুম খাতুন (১২) মাইলস্টোন স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে।
প্রতিদিনের মতোই সোমবার দুপুরে স্কুল শেষে মেয়েকে আনতে গিয়েছিলেন রজনী। এ সময় হঠাৎই একটি প্রশিক্ষণ বিমান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইলস্টোন স্কুলের ভবনে আছড়ে পড়ে। বিমানের ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন রজনী খাতুন। মেয়েটি অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও মায়ের মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ পরিবার। রজনীর ভাই আশিক আহমেদ বলেন, প্রতিদিনই বোন স্কুলে গিয়ে মেয়েকে নিয়ে আসতো। আজও গিয়েছিল। কে জানতো, এমন এক বিভীষিকাময় মুহূর্ত তার জন্য অপেক্ষা করছে!
এ দুর্ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মটমুড়া ইউনিয়নে মানুষের মুখে মুখে এখন একটাই কথা— মেয়ে ঝুমঝুমকে বাঁচাতে গিয়ে মা হারিয়ে গেলেন। বিমান দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ইতোমধ্যেই তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।