চলতি জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে আজ পর্যন্ত মোট ২২ দিনে প্রবল বর্ষণ ও তার ফলে সৃষ্ট বন্যা, বজ্রপাত, ভূমিধস, বর্ষণের জেরে বাড়ির দেওয়াল ও ছাদ ধসে ২২৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ১২ জন।
নিহত ২২৩ জনের মধ্যে পুরুষ ৭৯ জন পুরুষ, ৪২ জন নারী এবং ১১২ জন শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্ক রয়েছে। পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ৫৯৪ জন। এছাড়া ১ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত বর্ষণ, বন্যা ও ভূমিধসের জেরে ৮ শতাধিক বাড়ি আংশিক কিংবা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২০০টি গবাদি পশু।
সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে পাঞ্জাব প্রদেশে। জনসংখ্যার হিসেবে বৃহত্তম এই প্রদেশটিতে গত ২২ দিনে বর্ষাজনিত দুর্যোগের জেরে প্রাণ হারিয়েছেন ১৩৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৪৭০ জন।
দ্বিতীয় স্থানে আছে উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়া। এই প্রদেশের বিভিন্ন জেলায় গত ২২ দিনে ৫৬ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৭১ জন। এরপর সিন্ধে নিহত হয়েছেন ২৪ জন এবং আহত হয়েছেন ৪০ জন। বেলুচিস্তানে ১৬ জন নিহত হয়েছেন।
এর বাইরে রাজধানী ইসলামাবাদ এবং আজাদ কাশ্মিরে ১ জন করে নিহত হয়েছেন। গিলগিট-বাল্টিস্তানে নিহত বা আহত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
অতি বর্ষণের জেরে ভবনধস, ভূমিধস, আকস্মিক বন্যা, বজ্রপাত, পানিতে ডুবে এবং বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে নিহত এবং আহত হয়েছেন এই পাকিস্তানিরা।
শিগগিরই এই আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতির তেমন সম্ভাবনা নেই। কারণ দেশটির আবহাওয়াদ দপ্তর পাকিস্তান মেটেওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (পিএমডি) জানিয়েছে, আজাদ কাশ্মির, খাইবার পাখতুনখোয়া, ইসলামাবাদ, পাঞ্জাব এবং গিলগিট-বাল্টিস্তানের অধিকাংশ এলাকায় আগামী কয়েক দিন থেমে থেমে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
এফপি/ টিএ