চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা আওয়ামী লীগের তিন সহসভাপতিসহ আট নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তার নেতাদের লক্ষ্য করে আদালত চত্বরে ডিম নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা বিএমএ সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. গোলাম রাব্বানী, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলার গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়াম্যান হূমায়ুন রেজা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম (৪০), নাচোল পৌর আ. লীগের সদস্য মঞ্জুর আনসারী (৪২), পৌর যুবলীগের সদস্য আমিত হাসান মিঠুন (২৭), শিবগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাফিউল ইসলাম নীরব (২৭) এবং সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন আ. লীগের সদস্য দুরুল হোদা (৩৬)।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ বলেন, বুধবার দুপুর ২টার দিকে আওয়ামী লীগ সহসভাপতি রুহুল আমীন ও ডা. রাব্বানীকে জেলা জজ আদালতের সামনের সড়ক থেকে এবং সহসভাপতি হুমায়ুন রেজাকে বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে গোমস্তাপুরের নিজ বাড়ির সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, বাকি ৫ নেতাকর্মীকে গত মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দিবাগত রাতে নিজ নিজ এলাকা থেকে পূর্বে দায়েরকৃত পৃথক বিস্ফোরক মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ৫ জনকে বুধবার বিকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে আটক তিন সহসভাপতির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
জানা যায়, বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে যান শিবির নেতা তুহিন হত্যা মামলার আসামি রুহুল আমীন ও ডা. রাব্বানী। এ সময় স্থানীয় শিবির নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন তারা। আদালতের ফটক দিয়ে বের হবার সময় তাঁদের ওপর ডিম নিক্ষেপ করা হয়। শিবির কর্মীরা আদালতের বারান্দায় বিভিন্ন স্লোগান দেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল ওদুদ বলেন, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে রহুল আমীন ও ড. রাব্বানী শিবির নেতা তুহিন হত্যা মামলার আসামি হিসেবে উচ্চ আদালতের ৮ সপ্তাহের জামিন শেষে আদালতের নির্দেশে জেলা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে বন্ড জমা দিয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালতের বিচারক জেলা দায়রা জজ মো. মিজানুর রহমান তাদের জামিন শুনানির তারিখ পরিবর্তন করে আগামী ২৮ জুলাই নির্ধারণ করেছেন।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মতিউর রহমান আদালত ভবনে বিশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে বলেন, বিষয়টি রাজনৈতিক। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। হাজিরা দিতে আসা দুই নেতা রুহুল আমীন ও ডা. রাব্বানীকে নিরাপত্তা দিয়ে আদালতে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ করে দিয়েছে।পরে তাঁদের আটক করা হয়।
এফপি/টিএ