ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের তথ্য ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোকে (সিআইবি) জানাতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের তথ্য প্রতি তিন মাস পরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগে পাঠাতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ (ডিএফআইএম) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এতে বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা শনাক্ত ও চূড়ান্তকরণের পর এ সংক্রান্ত তথ্য সিআইবিকে জানাতে হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতাকে সিআইবিতে ডব্লিউ ডি বা উইলফুল ডিফল্টার হিসেবে দেখাতে হবে। এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা হিসেবে চিহ্নিত হওয়া গ্রাহককে চিঠি দেয়ার সময় সেটির অনুলিপি সিআইবিতেও পাঠাতে হবে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতার ক্রমপুঞ্জিভূত তথ্য ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বিবরণী আকারে পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এবং সিআইবিতে জমা দিতে হবে। পাশাপাশি এ সংক্রান্ত যাবতীয় দলিলসহ হালনাগাদ বিবরণী বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন দলের চাহিদা অনুযায়ী উপস্থাপন করতে হবে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা শনাক্তকরণ ইউনিটের হালনাগাদ তথ্য (সদস্যের নাম, মোবাইল নাম্বার এবং ই-মেইল অ্যাড্রেস) এবং যে কোনো পরিবর্তন ৭ দিনের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগকে অবহিত করতে হবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ২০২৩ এর ৩০(৬) ধারা এবং ৪১ (২)(ঘ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নিদের্শনা জারি করা হয়েছে, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেশে কার্যরত সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেএন/এসএন