ইংল্যান্ডের মাটিতে সফর করছে ভারত জাতীয় দল। একই সময়ে দুই দলের অনুর্ধ্ব-১৯ বয়সভিত্তিক দলও টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হয়েছে। সেখানে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে বারবারই খবরের শিরোনাম হচ্ছেন ভারতীয় যুবারা। এবার টেস্টে তৃতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন আয়ুশ মাহাত্রে। ৬৪ বলে ম্যাজিক ফিগার পূর্ণ করার পর এই ওপেনারের ইনিংস থামে ১২৬ রানে।
চেমসফোর্ডে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ইংল্যান্ড ৩৫৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল ভারতকে। গোল্ডেন ডাক (প্রথম বলেই আউট) নিয়ে বৈভব সূর্যবংশী ফিরলেও আয়ুশের সেঞ্চুরি ও অভিজ্ঞান কুন্ডুর ফিফটিতে সফরকারীরা ৬ উইকেটে ২৯০ রান তুলতেই ম্যাচটি ড্র হয়ে যায়। এরপরও আলোচনায় আয়ুশ মাহাত্রের অকুতোভয় ইনিংস। ৮০ বলে ১৩টি চার ও ৬ ছক্কায় তিনি ১২৬ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন।
ওই ইনিংসে বেশ কয়েকটি রেকর্ড ভেঙেছেন ১৭ বছর বয়সী এই ভারতীয় ওপেনার। টেস্ট ফরম্যাটের যুব ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছিলেন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার মঈন আলি (৫৬ বল)। এরপরই অবস্থান ভারতীয় আরেক ওপেনার বৈভবের। তিনি সেঞ্চুরি করেন ৫৮ বলে। এরপর তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। বর্তমানে এই ইংলিশ কোচ যুব বয়সে টেস্টে সেঞ্চুরি করেন ৬৮ বলে। যা ভেঙে দিয়েছেন আয়ুশ।
এ ছাড়া এক টেস্টে একশ’র বেশি স্ট্রাইকরেট নিয়ে ২০০–এর বেশি রানের রেকর্ডও গড়েছেন এই ভারতীয় তরুণ। এদিক থেকে অবশ্য ম্যাককালাম প্রথম। কিউই কিংবদন্তির চেয়েও বেশি স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করেছেন আয়ুশ। তার দুই ইনিংস মিলে ২০৬ রানের পথে স্ট্রাইকরেট ছিল ১২১.১৭। ২০০১ সালে ম্যাককালাম দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৭২ বলে ১৮৬ রানের ইনিংস খেলেন। যেখানে তার স্ট্রাইকরেট ছিল ১০৮.১৩, এর আগের ইনিংসে করেন ৪২ বলে ৪৬ রান। আর আয়ুশ দুই ইনিংসে করেন যথাক্রমে ৮০ (৯০) ও ১২৬ রান।
দুই ইনিংস মিলিয়ে আয়ুশ মাহাত্রে ৯টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। যুবাদের টেস্টে ভারতের হয়ে এর আগে সমান ৯টি ছক্কা মেরেছেন মনোজ তিওয়ারি। সেই রেকর্ডে এবার ভাগ বসালেন আয়ুশ। এর আগে ইংল্যান্ড অ-১৯ দলের সঙ্গে প্রথম টেস্টেও ড্র করে ভারতীয় যুবারা। বেকেনহামে হওয়া ওই টেস্টেরও এক ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন আয়ুশ। এর আগে যুব দলের সিরিজে ওয়ানডেতে ইংলিশদের ৩-২ ব্যবধানে হারায় ভারত।
ইউটি/টিএ