৭ মার্চেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান টইটম্বুর হয়ে ভরে ওঠেনি: তাহের

শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের সময়ও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান জামায়াতে ইসলামীর সর্বশেষ সমাবেশের মতো এত ‘টইটম্বুর হয়ে ভরে ওঠেনি’ বলে দাবি করেছেন দলটির নায়েবে আমির ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সৃষ্টির পর থেকে আজ পর্যন্ত এতবড় সমাবেশ এই মাঠে আর কোনোদিনও হয়নি। এখানে আইয়ুব খানের সমাবেশ হয়েছিল। সেই সময়ও এই মাঠের বাউন্ডারি পর্যন্ত লোকে পরিপূর্ণ হয়নি। ইতিহাসের অনেক বড় একটি সমাবেশ হয়েছিল ৭ই মার্চ, সেই সময়ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান টইটম্বুর হয়ে ভরে ওঠেনি। আর জামায়াতের সমাবেশ শুধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নয়, তারপাশে রমনা পার্কেও ভর্তি হয়ে গিয়েছিল, তারপাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত জায়গা, টিএসসি থেকে শুরু করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের চত্বর পেরিয়ে আরও দূর পর্যন্ত এই সমাবেশ ছড়িয়ে পড়েছিল।

জামায়াতের এই নায়েবে আমির আরও বলেন, মাছ যেমন পানিতে থাকে জামায়াতে ইসলামীর লোকেরা আন্দোলনের মধ্যে পানির মতো অবস্থান করে।

সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আমরা যখন নির্বাচনের কথা বলি, সংস্কারের কথা বলি, তখন কিছু মানুষ বলেন এটা নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আর কিছু মানুষ যখন হাসিনামার্কা নির্বাচন চায় সেটা কি নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নয়?

এ সময় তিনি কেন্দ্র দখল করে ক্ষমতায় আসার সুযোগ দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিচার ছাড়া নির্বাচন হবে না, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছাড়া নির্বাচন হবে না, সুতরাং যারা নির্বাচন চান তারা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে বাধা দিবেন না। কেন্দ্র দখল করে ক্ষমতায় আসার সুযোগ আর দেওয়া হবে না।

তাহের আরও বলেন, মানুষের মধ্যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের যে আগুন, সেটা এখনো প্রজ্জ্বলিত আছে। এজন্যই ঠুস করার কথা বললে মানুষ গিয়ে বত্রিশ নম্বরে হাজির হন। এখনো রাত তিনটায় পরীক্ষা পেছানোর কথা বললে ঐক্যবদ্ধভাবে ছাত্ররা সচিবালয়ের গেট ভেঙে দেন। এই যে চেতনার উদ্ভব ঘটেছে, সেটি আগামী ছয়মাসে নির্বাপিত হয়ে ছাই হয়ে যাবে, যারা এরকম ভাবছেন তারা সঠিক ভাবছেন না।

কেএন/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আগে ঘুষ দিতে হতো ১ লাখ টাকা, এখন দিতে হয় ৫ লাখ: মির্জা ফখরুল Jul 26, 2025
img
মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ১১ জনকে পুশইন Jul 26, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হেফাজত নেতাদের সাক্ষাৎ Jul 26, 2025
img
বিভাজনের রাজনীতি চায় না জামায়াত : সেলিম Jul 26, 2025
img
গ্রিন শিপইয়ার্ড না হলে জাহাজভাঙা কারখানা বন্ধ করে দিতে হবে : নৌপরিবহন উপদেষ্টা Jul 26, 2025
সজীব ওয়াজেদ জ য়কে সভাপতি করে দল পুনর্গঠনের পথে আ. লীগ Jul 26, 2025
নিম্নচাপের কারণে বরিশালে অস্বাভাবিক জোয়ার Jul 26, 2025
img
জীবন সবসময় সোজা পথে চলে না : আইজিপি Jul 26, 2025
img
'নির্বাচন ভন্ডুল করার অপচেষ্টাকে রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে' Jul 26, 2025
img
শহীদ পরিবারের সঙ্গে না বসে সরকার চেয়ার ছাড়তে পারবে না : সারজিস Jul 26, 2025
নবীজি যে দোয়া বেশি বেশি পড়তেন Jul 26, 2025
মাইলস্টোনের ঘটনায় অজোরে কাদঁলেন সংবাদপাঠিকা Jul 26, 2025
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবেশ হয়েছে জামায়াতের: নায়েবে আমির Jul 26, 2025
চাঁদাবাজি বেড়েছে ভয়াবহভাবে, অভিযোগ মির্জা ফখরুলের Jul 26, 2025
img
'যারা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়েছে তাদেরকে সাধুবাদ জানাই' Jul 26, 2025
img
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উন্নয়ন ও নিরাপত্তায় ভারসাম্য জরুরি : চীনের প্রধানমন্ত্রী Jul 26, 2025
img
সাংবাদিকরা সত্য তুলে ধরলে বিভ্রান্তি দূর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 26, 2025
img
দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বাংলাদেশের ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু Jul 26, 2025
img
আজীবন নিষেধাজ্ঞার মুখ থেকে রক্ষা পেলেন লুকাস পাকুয়েতা Jul 26, 2025
img
যে সরকারই আসুক কোরআনবিরোধী আইন করতে চাইলে মানুষ মেনে নেবে না : ধর্ম উপদেষ্টা Jul 26, 2025