জামায়াতে ইসলামীর ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী তালিকায় আছেন ছাত্রশিবিরের সাবেক ১৬ জন কেন্দ্রীয় সভাপতি। ঢাকার ২০টি আসনেই জামায়াতের তরুণ নেতাদের প্রার্থী করা হয়েছে। যাদের প্রায় সবাই ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। দলটির প্রায় ৭০ শতাংশ প্রার্থী ৫০ বছরের নিচে। শুধু তাই নয়, প্রার্থী হিসেবে সামনে আনা হয়েছে নবীন আলেম, পেশাজীবী, শহীদ পরিবারের সন্তান এবং তৃণমূল থেকে উঠে আসা পরিচ্ছন্ন ইমেজের তরুণ রাজনীতিকদের।
দলীয় নেতারা বলছেন, এই তরুণ প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা দ্রুতই বাড়ছে। ভোটাররা পুরোনো কোনো অভিযোগ বা বিতর্ক ছাড়াই স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতৃত্বকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করছেন।আতাউর রহমান সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের প্রার্থী ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা, বলেন: এ যুগ তরুণদের যুগ, জেন-জির যুগ। তারা পরিবর্তন ও নতুন নেতৃত্ব চায়। ৫৪ বছরে যারা পারেননি, নতুন করে তাদের দেখার কী আছে?
জামায়াতের বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমান ঢাকা-১৫, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার খূলনা-৫, এবং এটিএম আজহারুল ইসলাম রংপুর-২। তিনজনই ছাত্রশিবিরের প্রাক্তন সভাপতি বা দায়িত্বশীল ছিলেন। এটা দলীয় কাঠামোর ভেতরে দীর্ঘ প্রস্তুতির ফসল বলেও জানান নেতারা।
পটুয়াখালী-২ আসনে দলীয় প্রার্থী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, বিগত স্বৈরাচার-ফ্যাসিবাদের নির্যাতন-নিপীড়নের মুখেও যারা অন্যায়ের কাছে মাথানত করেননি এবং সাধারণ মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে যাননি। দ্বিতীয়ত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, সততা, আমানতদারিতা ও যোগ্যতার প্রশ্নে যারা আপসহীন, কোনো অবস্থায়ই তারা ভোগের রাজনীতিতে ব্যবহার হবেন না। তৃতীয়ত যারা জনগণের কাছাকাছি থেকেছেন, জনগণের ভালোবাসার সমর্থন নিয়ে যারা সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন। এসব দিক বিবেচনা করে জামায়াতের পক্ষ থেকে স্থানীয় চাহিদার আলোকে তরুণ বা ছাত্রশিবিরে নেতৃত্ব দিয়ে আসাদের প্রার্থী করা হয়েছে।
জামায়াতের এই নেতা আরো বলেন, এখন জামায়াত আমির ও সেক্রেটারি জেনারেল থেকে শুরু করে বেশিরভাগ ইসলামী ছাত্রশিবির থেকে আসা নেতৃত্ব। সে হিসেবে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়ই আমাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ। আর কেউ চাইলেই তার নিজের ইচ্ছামতো এখানে আসতে পারেন না। এখানে একটি বাছাই প্রক্রিয়া ও নিয়ম আছে।
এফপি/টিএ