আমাদের মূর্খ বলা হয়েছে, কিন্তু আমি দস্তখত করতে জানি: চরমোনাই পীর

নতুন করে যারা ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা করছে, প্রয়োজনে তাদেরও রুখে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তারা বলেছেন, দেশে আর কোনো চাঁদাবাজ, দখলদার বা তন্ত্র-মন্ত্র দিয়ে ক্ষমতা দখল করতে দেওয়া হবে না। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থা ও যৌক্তিক সংস্কার সম্পন্ন না করে কোনো নির্বাচন আয়োজন করা যাবে না— এটি কারো চাপে নয়, হতে হবে জাতীয় স্বার্থে।  

শুক্রবার (২৫ জুলাই) বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে ‘জুলাই চেতনার বাস্তবায়নে গণহত্যার বিচার, শহীদ পরিবার পুনর্বাসন ও বৈষম্যহীন ইনসাফভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র গঠনের’ দাবিতে ইসলামী যুব আন্দোলনের ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিক উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন নেতারা। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতি রেজাউল করীম বলেন, বিভিন্ন সময়ে আমাদেরকে বলা হয়েছে, আমরা নাকি মূর্খ। কিন্তু আমি দস্তখত করতে জানি, পড়তেও পারি এবং পড়াতেও পারি। তাহলে আমি কীভাবে মূর্খ? প্রকৃতপক্ষে যারা এসব বলে, তারাই জ্ঞানপাপী, তারাই প্রকৃত মূর্খ।

চরমোনাই পীর বলেন, বাংলাদেশে আজ সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ নেই। কিন্তু আমরা দেশপ্রেমিক, ইসলামের পতাকা নিয়ে আমরা সবসময় ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়েছি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এখন পর্যন্ত আমরা সংসদে কোনো দলীয় প্রতিনিধি পাঠাইনি। কারণ আমরা দুর্নীতিবাজ, খুনিদের কিংবা পাচারকারীদের সহযোগী হইনি।

চরমোনাই পীর বলেন, ৫ আগস্টের পর দেশ গঠনের একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আমি যুব সমাজকে বলব, তোমরা যদি ন্যায়ের পক্ষে আওয়াজ তোলো, আল্লাহর রহমতে এই দেশ একটি কল্যাণরাষ্ট্রে রূপান্তরিত হবে ইনশাআল্লাহ। আমরা ক্ষমতার লোভী না, আমরা দেশপ্রেমিক হতে চাই।

তিনি প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা নিরপেক্ষ থাকুন। কেউ বড় দল, কেউ ক্ষমতায় আসবে— এই ভাবনা বাদ দিন। আপনাদের দায়িত্ব দেশের প্রতি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করে, সেই আহ্বান জানাই। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ।


প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর, পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। আরও বক্তব্য রাখেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, কে এম আতিকুর রহমান এবং যুব আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

ইউটি/টিএ


Share this news on:

সর্বশেষ

img
নিহত সায়মার পরিবারের সঙ্গে সুখে-দুঃখে থাকবে বিএনপি : আব্দুল আউয়াল মিন্টু Jul 27, 2025
ভোটে প্রার্থীর চেহারা দেখা যাবে না, এমন নির্বাচন চায় না বিএনপি Jul 27, 2025
এআই-ই এখন সিদ্ধান্ত নেবে, চাকরি হারাবে মানুষ: স্যাম অল্টম্যানের সতর্কবার্তা Jul 27, 2025
ইউএস-বাংলাকে ২৭ লাখ ডলার ক্ষ'তি'পূরণ দেওয়ার নির্দেশ নেপালের Jul 27, 2025
থাইল্যান্ডে রাশিয়ার বিএম-২১ রকেট চালিয়ে আ/ঘা'ত হেনেছে কম্বোডিয়া Jul 27, 2025
img
'বর্তমান বৈশ্বিক বাস্তবতায় ডিজিটাল স্কিলস শুধু প্রয়োজন নয়, বরং অপরিহার্য' Jul 27, 2025
চার-পাঁচ দিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা বলছেন -মোস্তফা জামাল Jul 27, 2025
টেস্ট কেমন? খেয়ে দেইখা পরে কন টেস্ট কেমন! Jul 27, 2025
img
আসন্ন নির্বাচনে কুমিল্লা-২ আসন থেকে গণ অধিকার পরিষদের এমপি প্রার্থী নাজমুল Jul 27, 2025
img
ফেনী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ২ বাংলাদেশির দাফন সম্পন্ন Jul 27, 2025
img
আমরা আর টাকা পাচারের রাজনীতি দেখতে চাই না: আখতার Jul 27, 2025
img
ছাদ ধসে নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা Jul 27, 2025
img
ফেসবুকে প্রেম, বিয়ের দেড় মাস পর জানলেন নববধূ পুরুষ! Jul 27, 2025
img
আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে আন্তরিক ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সরকার: প্রধান উপদেষ্টা Jul 27, 2025
img
দেশে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য তৈরি হয়েছে: নাহিদ Jul 27, 2025
img
তরুণরাই ডিজিটাল রূপান্তরের প্রধান চালিকাশক্তি : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব Jul 27, 2025
img
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সংঘাতে বাস্তুচ্যুত ১ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ Jul 27, 2025
img
শহীদ পরিবারের সদস্যরা ভিক্ষা চান না, তারা সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে চান: জামায়াত আমির Jul 27, 2025
img
কিশোরগঞ্জ রাষ্ট্রপতি পেয়েছে বটে, কিন্তু পায়নি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা: নাহিদ ইসলাম Jul 27, 2025
img
বাশার ও রাজ্জাকদের ম্যাচ রেফারি হওয়া নিয়ে মুখ খুললেন বিসিবি সভাপতি Jul 27, 2025