পাবলিক পরীক্ষার আদলে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না এবারও। চলতি বছর অষ্টম শ্রেণিতে চালু করা হচ্ছে ১৫ বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া বৃত্তি পরীক্ষা পদ্ধতি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃত্তি পরীক্ষা চালুর বিষয় নিয়ে সম্প্রতি একটি সভাও করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব নাম প্রকাশ না করে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পরীক্ষা ফের চালু করতে ২০ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বেগম বদরুন নাহার। ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা এ বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা পুনঃপ্রবর্তন নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গত বছরও জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা হয়নি। নেওয়া হয়নি বৃত্তি পরীক্ষাও। এ বছর থেকে দীর্ঘ সময় পর অষ্টম শ্রেণিতে আবার চালু হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা।
মন্ত্রণালয় সূত্রে আরো জানা যায়, আগে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া নির্দিষ্ট শতাংশের ছাত্রছাত্রীকে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হতো।
বর্তমানে বৃত্তি পরীক্ষার নতুন নীতিমালা এখনো না থাকায় কত শতাংশ শিক্ষার্থীকে এ পরীক্ষায় বসতে পারবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
এর আগে সবশেষ ২০০৯ সালে অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পরীক্ষা নিয়েছিল সরকার। এরপর অষ্টম শ্রেণিতে চালু করা হয় জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা। পাবলিক পরীক্ষার আদলে এই পরীক্ষা নেওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ে কোচিংনির্ভরতা। ফলে অষ্টম শ্রেণিতে এই পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানানো হচ্ছিল নানা মহল থেকে।
এদিকে অব্যাহত সমালোচনার মুখে ২০২৩ সালে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা না নিয়ে একই সিলেবাসের আদলে অষ্টম শ্রেণিতে বার্ষিক পরীক্ষার নেয় তৎকালীন সরকার। চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর গত বছরও হয়নি জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা। নেওয়া হয়নি বৃত্তি পরীক্ষাও।
সম্প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত এসেছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবার এলো অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত।
পিএ/টিকে