বিচার সংস্কার ছাড়া নির্বাচন অর্থহীন হয়ে পড়বে : নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময় অনেক স্বপ্ন দেখেছিলাম। আমাদের অনেক দাবি ছিল। কিন্তু আমাদের সব স্বপ্নকে নির্বাচনের দাবিতে রূপান্তর করে ফেলা হয়েছে। আমরা বলেছি আমরা নির্বাচন চাই, আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই করা শক্তি, আমরা ভোটাধিকারের পক্ষে লড়াই করা শক্তি। কিন্তু বিচার সংস্কার ছাড়া নির্বাচন অর্থহীন হয়ে পড়বে।

শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে মৌলভীবাজার শহরের বেরিরপাড়ে দেশে গড়তে জুলাই পথযাত্রা শেষে পথসভায় এসব কথা বলেন।

সংবিধান প্রসঙ্গে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, আমরা বলেছি আমাদের নতুন সংবিধান প্রয়োজন। যেই সংবিধানে বাংলাদেশের মানুষের অধিকারের কথা লেখা থাকবে, সব ঐতিহাসিক লড়াইয়ের স্বীকৃতি থাকবে, সকল জাতি-ধর্ম-বর্ণের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হবে। সেই নতুন সংবিধানের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তি। ৭২ সালের সংবিধানকে রক্ষার জন্য একটি গোষ্ঠী রাজপথে নেমেছে। 

তিনি আরও জানান, পুলিশ হত‍্যাকে ডমিনেট করে এর দায় অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতাকে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা ৩ আগস্ট এক দফায় স্পষ্ট করেছি আমাদের লড়াই শেখ হাসিনার ফ‍্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। আমাদের যে দমনপীড়ন করা হয়েছে আমরা বাধ্য হয়েছিলাম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। আমাদের লড়াই ছিল ফ‍্যাসিস্ট রাষ্ট্র ফ‍্যাসিস্ট বাহিনীর বিরোধী।

চা শ্রমিকদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই মৌলভীবাজারে অনেক চা শ্রমিক রয়েছে। চা শ্রমিকরা কয়েকদিন পর আন্দোলন করেন তাদের ন্যায্য মজুরির জন্য। শ্রীলঙ্কায় চা শ্রমিকরা সাড়ে ৫০০ টাকা মজুরি পায়। ভারতেও তারা ৪০০ এর ওপরে মজুরি পায়। কিন্তু বাংলাদেশে তারা মাত্র ১৭৯ টাকা মজুরি পায়। ১৭৯ টাকায় কীভাবে একজন শ্রমিক দিনযাপন করবে?

তিনি এসময় আরও বলেন, আমরা যে বাংলাদেশ চাই, বাংলাদেশে একজন শ্রমিক ন্যায্য মজুরি পাবে। সে তার পরিবারের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারবে। এই মৌলভীবাজারে আমরা চা শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই।


ইউটি/টিএ


Share this news on:

সর্বশেষ

img
পাবনায় সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪৪ ধারা জারি Jul 27, 2025
img
যে তরুণরা মাথার মুকুট ছিল, এখন তাদের নিয়ে অভিযোগ কেন : রাশেদ Jul 27, 2025
img
ফাইনালে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে ওয়াফকন চ্যাম্পিয়ন নাইজেরিয়া Jul 27, 2025
img
বিএনপির ব্যয়ের তুলনায় আয় তিনগুণ Jul 27, 2025
img
রাজউকের ড্যাপ বাতিলসহ চার দফা দাবি স্থপতি ইনস্টিটিউটের Jul 27, 2025
img
‘শহীদের সঙ্গে বেইমানি হবে না’, বলেই পদত্যাগ কেয়ার Jul 27, 2025
img
সুন্দরবনে কাঁকড়া চুরি, কোস্টগার্ডের অভিযানে জব্দ ৭০০ কেজি Jul 27, 2025
img
ফুটবল বিশ্বকাপে ফের মেসি, এএফএ দিলো সুসংবাদ! Jul 27, 2025
img
দেশটা কারও বাপ-দাদার সম্পত্তি না: শবনম ফারিয়া Jul 27, 2025
img
“আনপপুলার তথ্য” দিয়ে আলোচনায় সারজিস আলম Jul 27, 2025
img
গুগল সার্চে এলো পরিবর্তন Jul 27, 2025
img
সেনাপ্রধানের প্রশংসায় সারজিস আলম Jul 27, 2025
img
গণতন্ত্র ধ্বংসকারীরা নানাভাবে চক্রান্তে মেতে উঠেছে: রিজভী Jul 27, 2025
img
ইসির পর্যবেক্ষক হতে আবেদনের জন্য যা যা দিতে হবে Jul 27, 2025
img
সোমবারের মধ্যে দলগুলোর কাছে যাবে জুলাই সনদের খসড়া: আলী রীয়াজ Jul 27, 2025
img
সরকারি কর্মচারীদের প্রতারণার ফাঁদ এড়িয়ে চলার নির্দেশ Jul 27, 2025
img
ভোলার ১০ রুটে তিন দিন পর ফের চলল যাত্রীবাহী লঞ্চ Jul 27, 2025
img
প্রকাশ্যে অভিনেতা-প্রযোজকের ওপর চড়াও হলেন অভিনেত্রী Jul 27, 2025
img
গোপন প্রেমের পর রাজকীয় বিয়ে, তবুও জহিরের মনে হাহাকার Jul 27, 2025
img
শতভাগ জয়ের রেকর্ড নিয়ে ইউরো ফাইনালে স্পেন, চাপে ইংল্যান্ড Jul 27, 2025