সদ্যই পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করেছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের আগে লিটন দাসের দলের আর কোনো খেলা নেই। ভারত বাংলাদেশের বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজ স্থগিতের ফলে বাংলাদেশের এশিয়া কাপের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। তবে এই বিরতি কাজে লাগানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ টি–টোয়েন্টির পর লিটন বলেছিলেন, এশিয়া কাপে যাওয়ার আগে আরও একটি সিরিজ খেলতে পারলে ভালো হতো তাদের জন্য। তবে বেশীরভাগ দলেরই আগস্টে আন্তর্জাতিক সূচি থাকাতেই বেধেছে বিপত্তি। তবে আশার আলো আগস্টের শেষভাগে এসে খেলা নেই নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড অথবা আরব আমিরাতের।
বিসিবির একটি সূত্র ক্রিকফ্রেঞ্জিকে জানিয়েছে, দেশে বা বিদেশে একটি সিরিজ আয়োজনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বোর্ড। যদিও এখনও কিছুই চূড়ান্ত নয়। টানা সিরিজ খেলার ধকল সামলে নিতে আপাতত তাই ক্রিকেটারদের বিশ্রামে রাখাটাই জরুরি মনে করছে তারা।এদিকে শনিবার বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানিয়েছেন নেপাল ও নেদ্যারল্যান্ডসের সঙ্গেও সিরিজ আয়োজন নিয়ে আলোচনা করছে বিসিবি।
তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপাকালে বলেছেন, 'যেহেতু ভারত এই মুহূর্তে আসছে না। আমাদের একটা চেষ্টা আমরা করছি অন্য কোনো দেশকে আনা যায় কিনা। বড় কোনো দেশ এই মুহূর্তে ফাঁকা নেই কারণ তারা তাদের ব্যস্ত সূচি আছে।
আমরা মনে হয় অন্য কোনো দেশের সাথে এটা হতে পারে নেদারল্যান্ড হতে পারে, নেপাল হতে পারে, এমন কোনো দেশের সাথে হয়তো আমরা আমরা চেষ্টা, এই মুহূর্তে করে যাচ্ছি, আমি জানি না তারা আসে কিনা।'
১০–১২ দিনের বিশ্রামের পর আগস্টের প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে ক্রিকেটারদের প্রস্তুতি, যাতে থাকার কথা লম্বা স্কিল ক্যাম্পও। এশিয়া কাপের আগে সপ্তাহ তিনেকের প্রস্তুতি ক্যাম্পে ক্রিকেটারদের স্কিলের উন্নতিতেই বেশি জোর দেওয়া হবে।
সারা বছর খেলার ব্যস্ততায় আলাদা করে নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে সক্ষমতা বাড়ানোর সুযোগ মেলে না। খেলার ব্যস্ততা না থাকায় এশিয়া কাপের আগে সেটি করার উপযুক্ত সময় বলে মনে করছে টিম ম্যানেজমেন্ট। সিরিজ খেলার জন্য শেষ পর্যন্ত বিদেশি দল পাওয়া না গেলে ‘এ’ দল বা হাই পারফরম্যান্স দলের সঙ্গে কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারে জাতীয় দল।
টিকে/