আসছে ৫ আগস্ট ঘিরে জুলাই সনদ ও জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিশেষ চাপে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্না।
সাংবাদিক পান্না সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘শনিবার বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ১৩টি দল এবং একটি জোটের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক শেষে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফরের) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের কাছ থেকে আমরা শুনলাম আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। অথচ এমন গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ নিয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলমের কোন দৌড়ঝাপ দেখা যাচ্ছে না।’
এর আগেও মানুষকে ঠাণ্ডা রাখতে বর্তমান সরকার নাটক করেছেন জানিয়ে পান্না প্রশ্ন রাখেন, ‘আসলেই কি ইউনূস প্রশাসন নির্বাচনের আয়োজন করবেন নাকি শুধু ঘোষণাতেই তা সীমাবদ্ধ থাকবে? আর করলে তা কি নির্বাচনের তারিখ আর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ফুসে ওঠা মানুষকে ঠাণ্ডা করতে যেনোতেনো একটা ঘোষণা হবে?’
তিনি বলেন, আসছে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের বিদায়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে অনেক গুঞ্জন বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে।
আর একে কেন্দ্র করে সরকার প্রচণ্ড ভয়-চাপ-আতঙ্কে আছে।
নিজের বিপদ আঁচ করতে পারলে ড. ইউনূস তড়িঘড়ি করে বৈঠক ডাকেন বলেও মন্তব্য করেন পান্না। তিনি বলেন, ‘কোন ষড়যন্ত্র আসতে পারে বা পতিত স্বৈরাচার কোন খেলা খেলতে পারে এমন ধারণা থেকেই ঐক্যের ডাক দিয়ে লোক দেখানো নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘গত এক বছরে দেশের সব ওলট পালট করে, এনসিপিকে যে বিশেষ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হচ্ছে তা সব কি এমনিই দেয়া হচ্ছে? না, বরং অবস্থার আরও অবনতি করে নির্বাচনের তারিখ পেছানোর অজুহাত সামনে আনা হবে।
সংস্কার কর্মসূচির নামে মাসের পর মাস ধরে নাটক চলছে বলে ঐকমত্য কমিশনের কড়া সমালোচনা করেন পান্না। এছাড়া ড. ইউনূস যদি সত্যিই নির্বাচনের উদ্দেশ্যে তারিখ ঘোষণা করেন তাহলে তার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কি না তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন এই সাংবাদিক।
এমকে/টিকে