গ্রেফতার হইনি, চাঁদাবাজিও করি নাই: অপু

সংরক্ষিত আসনের সাবেক এক সংসদ সদস্যের কাছে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা দাবি করেছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম-আহ্বায়কসহ কয়েকজন। দ্বিতীয় ধাপে চাঁদা নিতে গেলে ৫ জনকে আটক করা করে পুলিশ।

শনিবার এ ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু। পোস্টে তিনি বলেন, ‘প্রথমত আমি গ্রেফতার হইনি, দ্বিতীয়ত আমি কোথাও চাঁদাবাজিও করি নাই। আজকের গুলশানের ঘটনায় আমি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনোভাবেই জড়িত ছিলাম না।’

এছাড়া চাঁদাবাজির ঘটনার ভিডিওর ব্যাখ্যা মিডিয়ার সামনে দেবে বলেও তিনি জানান।

জানে আলম অপু তার দেওয়া পোস্টে আরও বলেন, ‘প্রচণ্ড মানসিক চাপে আছি, এত এত মানুষের কল, মেসেজ, সোশাল মিডিয়ায় লেখালেখি, সব মিলিয়ে বেশ কঠিন পরিস্থিতিতে পরলাম। কিছু মিডিয়ার আংশিক নিউজ প্রচারের ফলে আমাকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আমাকে একটু স্থির হবার সুযোগ দিন প্লিজ, আমি আপনাদের সব প্রশ্নের উত্তর দেব এবং আমার দ্বারা যদি অপরাধ ঘটে থাকে তাহলে আমি তার জন্য প্রাপ্য শাস্তি মাথা পেতে নেব। বিস্তারিত জানাব খুব শিগগির, একটু সময় দিন প্লিজ।’

গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের আলাদা দুটি জরুরি নোটিশে বলা হয়েছে, কতিপয় ব্যক্তি সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গেলে সেখানে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু ও সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমানের সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পায়।

নোটিশে আরো বলা হয় ‘গঠনতন্ত্রের ধারা ৩.১ অনুযায়ী, সংগঠনের ভাবমূর্তি ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা এবং চাঁদাবাজির সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্টতার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ প্রাপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার ও সদস্যসচিব জাহিদ আহসানের নির্দেশনায় দুইজনকে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের সব পর্যায়ের দায়িত্ব ও সদস্যপদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো। একই সঙ্গে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ অনুরোধ জানায়।’

এদিকে এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে সংগঠনটি।

কেএন/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় সমন্বয়ক রিয়াদকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন উমামা Jul 27, 2025
img
বরিশালে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫ Jul 27, 2025
img
ক্ষমতায় থেকে আদালতের কোনো উন্নয়ন করেননি : ইনুকে বিচারক Jul 27, 2025
img
বগুড়ায় ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল মেরিন ইঞ্জিনিয়ারের Jul 27, 2025
img
২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আবুল বারকাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক Jul 27, 2025
img
চাঁদাবাজদের পৃষ্ঠপোষকতায় সরকার নিরব রয়েছে : নয়ন Jul 27, 2025
img
পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বদলি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় Jul 27, 2025
img
দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে রাজনৈতিক অঙ্গীকার জরুরি : মির্জা ফখরুল Jul 27, 2025
img
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির অভাবে প্রশাসনের কার্যকারিতা কমে গেছে : আমীর খসরু Jul 27, 2025
img
সাবেক বিমান বাহিনীর প্রধান হান্নান ও তার স্ত্রীর নামে দুর্নীতির ২ মামলা Jul 27, 2025
img
দেশে আর যেন নিপীড়নের শাসন ফিরে না আসে : গণপূর্ত উপদেষ্টা Jul 27, 2025
আকাশে উড়ন্ত টেলিস্কোপ! এআই ড্রোন ক্যামেরায় তুরস্কের চমক Jul 27, 2025
মারিয়ার আবেগঘন কথায় ছেলের ভালোবাসা প্রকাশ Jul 27, 2025
পাকিস্তানের সাথে এক্সপেরিমেন্ট করা ঠিক ছিল না: মিনহাজুল আবেদীন নান্নু Jul 27, 2025
এক বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব দিল বিএনপি Jul 27, 2025
নতুন বাংলাদেশ গড়বে জামায়াত? বরিশালে কড়া বার্তা মুয়াযযম হোসাইনের Jul 27, 2025
জার্মানির সামরিক খাতে এআই ও স্টার্টআপের আমূল প্রভাব Jul 27, 2025
ইলিশের বাজার দর নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা - ফরিদা আখতার | ইলিশের দাম Jul 27, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন দিতে গড়িমসি করছে : হাফিজ উদ্দিন আহ‌মেদ Jul 27, 2025
img
সালমানের অনুশোচনামূলক বার্তা ঘিরে জল্পনায় ভক্তরা Jul 27, 2025