‘গাজায় খাদ্য সংকটের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আলোচনা অর্থহীন’

গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনা স্থবির করার জন্য ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন হামাসের কাতার-ভিত্তিক নেতা খলিল আল-হায়্যা।

রোববার (২৭ জুলাই) এক টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে হামাসের গুরুত্বপূর্ণ এই রাজনৈতিক নেতা বলেন, গাজায় চলমান খাদ্য সংকটের কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া 'অর্থহীন'।

দলটির প্রধান আলোচক আল-হায়্যা দাবি করেন, আলোচনার সর্বশেষ দফায় হামাস 'সব ধরনের নমনীয়তা' দেখিয়েছে এবং 'স্পষ্ট অগ্রগতি' অর্জন করেছে। ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, জিম্মি ও বন্দি বিনিময় এবং ত্রাণ সরবরাহ নিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাবের সঙ্গে তারা মূলত একমত হয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ‘তারা (মধ্যস্থতাকারীরা) আমাদের কাছে ইসরায়েলের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া আসার কথা জানিয়েছিলেন, কিন্তু আমরা অবাক হয়ে দেখলাম যে দখলদার বাহিনী আলোচনা থেকে সরে গেছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত (স্টিভ) উইটকফ তাদের সঙ্গে আঁতাত করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, গাজায় চলমান অবরোধ ও 'অনাহার' পরিস্থিতির মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার 'কোনো মানে হয় না'। তিনি যে কোনো আলোচনার পূর্বশর্ত হিসেবে 'অবিলম্বে ও সম্মানের সঙ্গে খাদ্য ও ওষুধ প্রবেশ'-এর দাবি জানান এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগকে 'দখলদার বাহিনীর দর কষাকষির কৌশল' হিসেবে ব্যবহার করতে অস্বীকার করেন।

তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে 'সময় নষ্ট' করার এবং ইচ্ছাকৃতভাবে আলোচনা বিলম্বিত করার অভিযোগ করেন, যাতে গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর ধ্বংসযজ্ঞ চালানো অব্যাহত রাখা যায়।

এর আগে, গত শুক্রবার সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তির আলোচনায় অবশিষ্ট দুটি বিতর্কিত বিষয় হলো জিম্মি ও বন্দি বিনিময় এবং ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহারের সময়সূচি।

ওই কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল বৃহস্পতিবার তাদের প্রতিনিধিদলকে আলোচনা থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঠিক আগে হামাস এই বিষয়গুলো নিয়ে দুটি প্রস্তাব জমা দিয়েছিল। তবে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে অসৎ উদ্দেশে কাজ করার অভিযোগ এনেছিল।

এমআর 

Share this news on:

সর্বশেষ

বাবর দেশপ্রেমিক, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অগ্রহণযোগ্য: ছাত্রনেতা রাফি Jul 28, 2025
আশুলিয়ায় সিলিন্ডার ফেটে আগুন, দগ্ধ স্বামী-স্ত্রী Jul 28, 2025
img
জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের নিবন্ধন স্থগিত করা সরকারের দায়িত্ব: রাশেদ খান Jul 28, 2025
img
বাবার কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন জসীমপুত্র রাতুল Jul 28, 2025
img
৪ দিন বন্ধ থাকার পর সেন্টমার্টিনে ট্রলার চলাচল স্বাভাবিক Jul 28, 2025
নবী যাবের (রাঃ) এর অলৌকিক কাহিনি | প্রতিদিনের ইসলামিক কার্টুন Jul 28, 2025
বারবার ভুল করতে থাকলে এক সময় সেটা অভ্যাস হয়ে যায়, সালমানকে সেলিম খান Jul 28, 2025
img
রাষ্ট্রপতির কাছে বার্ষিক প্রতিবেদন দিলেন প্রধান বিচারপতি Jul 28, 2025
এনসিপি ত্যাগের ঘোষণা দিলেন নীলা ইস্রাফিল Jul 28, 2025
ডেটা সেন্টার এখন সমুদ্রের তলায়! চীনের প্রযুক্তি বিপ্লব Jul 28, 2025
img
আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা Jul 28, 2025
img
অভ্যুত্থান না হলে আপনারা নির্বাচনের স্বপ্নই দেখতে পারতেন না: নাহিদ ইসলাম Jul 28, 2025
img
নির্বাচনে ৬০ হাজার সেনা সদস্য কাজ করবে: প্রেস সচিব Jul 28, 2025
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন চুক্তি নিয়ে যা বললেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ Jul 28, 2025
জাতীয় ঐকমত্যে বিএনপির ওয়াক আউট Jul 28, 2025
হঠাৎ ফায়ার অ্যালার্মে জরুরি ভিত্তিতে ভবন ছাড়লেন শীর্ষ নেতারা! Jul 28, 2025
img
জেদ্দায় পারফর্ম করে ৭ কোটি রুপি নিলেন উর্বশী রাউতেলা Jul 28, 2025
img
সমন্বয়কদের চাঁদাবাজির খবরে বেদনায় নীল হয়ে গেছি : ফখরুল Jul 28, 2025
img
মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসাধারীদের জন্য সময় বৃদ্ধি করেছে সৌদি আরব Jul 28, 2025
img
তাসকিনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ, থানায় সাধারণ ডায়েরি Jul 28, 2025