দুই ওপেনারের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে জিম্বাবুয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে উড়ন্ত শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। বিশেষ জাওয়াদ আবরার এদিন রীতিমতো ঝড় তোলেন। তবে শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও সুবিধা করতে পারেননি মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। তাতে বড় সংগ্রহ গড়া হয়নি টাইগারদের। মাঝারি মানের পুঁজি নিয়েও বোলারদের কল্যাণে বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
হারারেতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৭৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৮২ রান করেছেন জাওয়াদ। জবাবে খেলতে নেমে ৪২ ওভার ২ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে।
২৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৩ রান যোগ করেন জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন আল ফাহাদ। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দারুণ ব্যাটিং করেন নাথানিয়েল হ্লাবানগানা ও কিয়ান ব্লিগনট। নাথানিয়েল ৫৩ রান করে সজাঘরে ফিরলে ভাঙে সেই জুটি।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ১৪০ রানে চতুর্থ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে আর ৪৩ রান যোগ করতেই হারিয়েছে পরের ৬ উইকেট। তাতে দুইশর আগেই অলআউট হয় তারা।
বাংলাদেশের হয়ে ১৪ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন সামিউন বশির রাতুল। এ ছাড়া ২টি করে উইকেট পেয়েছেন আল ফাহাদ ও আজিজুল হাকিম তামিম।
এর আগে ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন জাওয়াদ ও রিফাত বেগ। দুই প্রান্ত থেকেই রোডেশিয়ান বোলারদের ওপর আক্রমণ করে বাংলাদেশ। রীতিমতো বল ফেলার জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলো না স্বাগতিক বোলাররা।
উইকেটে থিতু হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি রিফাত। ৩৫ বলে ৩১ রান করেছেন এই ওপেনার। তবে আরেক ওপেনার জাওয়াদ সেঞ্চুরির পথে হাঁটছিলেন। মাত্র ৩৯ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৬৩ বলে ৮২ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
তিনে নেমে ভালোই শুরু করেছিলেন আজিজুল হাকিম তামিম। তবে ফিরেছেন ৩৪ রান করে। তামিম ফেরার পরই পথ হারায় বাংলাদেশ। ১৭৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারানো বাংলাদেশ ১৮০ ছুঁয়েছে ৬ উইকেটে।
শেষদিকে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এক প্রান্ত আগলে রেখে দারুণ ব্যাটিং করেছেন। তাতে আড়াইশ ছাড়ানো সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। ৬৪ বলে অপরাজিত ৫৬ রান করেছেন আবদুল্লাহ।
এফপি/টিএ