টলিউডে চার দশকের বেশি সময় ধরে নিজের শক্ত অবস্থান গড়ে নিয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। শুধু নায়ক হিসেবে নয়, ইন্ডাস্ট্রির একজন অভিভাবক হিসেবেও তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে দাঁড়িয়ে তিনি যে দৃষ্টান্ত রেখেছেন- তরুণদের সুযোগ করে দেওয়া, নতুন প্রজেক্টে বিনিয়োগ, ভবিষ্যতের জন্য ইন্ডাস্ট্রির ভিত গড়া- তা আজ টলিউডের জন্য এক মূল্যবান সম্পদ হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রেও একাধিক দশক ধরে রাজত্ব করছেন শাকিব খান। তার ঝুলিতে আছে অগণিত হিট ছবি, অসংখ্য পুরস্কার, দেশের মানুষের ভালোবাসা ও আস্থা। কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে-এই সুপারস্টার কি কেবল অভিনয়েই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখবেন, না কি প্রসেনজিতের মতোই এগিয়ে আসবেন ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যৎ গঠনে?
শাকিবের অভিজ্ঞতা, সামর্থ্য এবং প্রভাব- সবকিছুই আছে। তিনি চাইলে নিজেই নতুন নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, অভিনয়শিল্পীদের মঞ্চে তুলে ধরতে পারেন। নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানকে আরও সক্রিয় করে তুলতে পারেন গঠনমূলক কাজের মাধ্যমে।
নায়ক হিসেবে সাফল্য অর্জন করা এক ব্যাপার, কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির নেতৃত্ব দেওয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন এক চ্যালেঞ্জ। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এই নেতৃত্বের অভাবেই অনেক প্রতিভা হারিয়ে যাচ্ছে। শাকিব খানের মতো একজন তারকা যদি সামনে থেকে দায়িত্ব নেন, তবে হয়তো বাংলাদেশের সিনেমা পাবে এক নতুন গতি, নতুন প্রাণ।
সময় এসেছে, যেখানে একজন সুপারস্টারের কাঁধে শুধু অভিনয় নয়, ইন্ডাস্ট্রির দায়িত্বও তুলে নেওয়ার প্রত্যাশা করে দর্শক ও সহশিল্পীরা। এখন দেখার, শাকিব খান কী সিদ্ধান্ত নেন- নায়ক হিসেবে নিজের সীমা টেনে রাখবেন, নাকি প্রসেনজিতের মতো হয়ে উঠবেন এক প্রকৃত পথপ্রদর্শক।
কেএন/টিকে