চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপি ও যুবদলের পাঁচ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা।
বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে প্রথমে মিরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট পৌর সদরে এবং দুপুরে মিরসরাই উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে মিরসরাই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে সমাবেশ করেন বহিষ্কার হওয়া নেতাদের অনুসারীরা। এ সময় বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহেরর দাবি জানিয়েছেন তারা।
সমাবেশে মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে যারা রাজপথে ছিলেন, নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন, আওয়ামী লীগের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে মিরসরাই জনপদে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলবো আপনারা মিরসরাইয়ে একটি তদন্ত টিম পাঠান। সেই টিম নুরুল আমিন চেয়ারম্যান সংগঠনবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত কি না খতিয়ে দেখুক। পাশাপাশি অন্য যেসব নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তারা কোনো সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল কি না, খতিয়ে দেখে বহিষ্কারাদেশ পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মিরসরাই পৌরসভা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মহিউদ্দিন, সাবেক সদস্য সচিব জাহিদ হুসাইন, উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক শাহিনুল ইসলাম স্বপন, বিএনপি নেতা রফিকুজ্জামান চেয়ারম্যান, বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম লিটন, কামরান সরোয়ার্দী, বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেন লাভলু চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন, বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজী, মিরসরাই উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন, জোরারগঞ্জ থানা যুবদলের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলামকে দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এর প্রতিবাদে রাতেই করেরহাট, মিরসরাই উপজেলা সদর, বারইয়ারহাট, বড়তাকিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে মিছিল এবং সমাবেশ করেন তাদের অনুসারীরা।