উচ্চকক্ষে কেন পিআর পদ্ধতি চায় এনসিপি, জানালেন সদস্য সচিব আখতার

উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি রাজনৈতিক বৈচিত্র্য এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উন্নয়ন ঘটাবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বের চলা বৈঠকের বিরতীতে এই মন্তব্য করেন তিনি।

আখতার বলেন, ‘উচ্চকক্ষের গঠন প্রণালী নিয়ে আলাপ করছি। কমিশনের তরফ থেকে ১০০ আসনের একটা উচ্চকক্ষ যেটা পিআর পদ্ধতিতে ভোটের অনুপাতে সেখানে প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হবেন সে প্রস্তাবনা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে উচ্চকক্ষে নিম্নকক্ষের সেখানে যে বিলগুলো উত্থাপিত হবে, সেগুলো আসলে কত সময় পর্যন্ত সেখানে আটকে থাকতে পারে সে ব্যাপারে দুই মাসের সময়সীমার কথা বলা হয়েছে। সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে সিম্পল মেজরিটির কথা সেখানে বলা হয়েছে।’

সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে উচ্চকক্ষে টু-থার্ড মেজরিটি নিশ্চিতের বিষয়টি বলেছেন জানিয়ে এনসিপির সদস্য সচিব বলেন, ‘একটা তর্ক এখানে এসেছে, উচ্চকক্ষে যদি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হয় তাহলে তারা নাকি নির্বাচিত প্রতিনিধি হন না। শুধুমাত্র নিম্নকক্ষে এখন যে পদ্ধতিতে প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়ে থাকেন, সেটাকেই নির্বাচনের একমাত্র পন্থা হিসেবে অনেকেই বিবেচনা করছেন।

কিন্তু আমাদের বক্তব্য, পৃথিবীজুড়েই এই এফপিটিপি এবং পিআর পদ্ধতিতে প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার প্র্যাকটিস রয়েছে। সে জায়গা থেকে উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে যারা নির্বাচিত হবেন তারাও জনগণের প্রতিনিধি।’

পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব করবে। এটি রাজনৈতিক বৈচিত্র্য এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উন্নয়ন ঘটাবে বলেও মনে করেন আখতার হোসেন।

তিনি বলেন, ‘নিম্নকক্ষে পাস হওয়া বিলগুলোতে ত্রুটি থাকলে উচ্চকক্ষে তা সংশোধনের সুযোগ থাকবে। উচ্চকক্ষ একটি আলোচনার জায়গা তৈরি করবে যেখানে জনগণের মতামত গুরুত্ব পাবে।’

এনসিপির সদস্য সচিব বলেন, ‘অনেকেই পিআর পদ্ধতি হলেও উচ্চকক্ষ চান না, আবার অনেকই চান। চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স তৈরির জন্যই উচ্চকক্ষের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। যাতে একক দলের স্বেচ্ছাচারিতায় যেন কিছু না হয়।’

এমআর/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর গ্রেপ্তার Aug 01, 2025
img
কিয়েভে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ২৮ Aug 01, 2025
img
কলকাতায় ৮ দিনের রিমান্ডে বাংলাদেশি মডেল শান্তা পাল Aug 01, 2025
বিয়ের পর আর অভিনয়ে দেখা যাবে না তানিয়া বৃষ্টি Aug 01, 2025
img
জুলাই ২৪ কে নিয়ে যেন ৭১ এর মত চেতনা ব্যাবসা না হয়: ব্যারিস্টার ফুয়াদ Aug 01, 2025
ছাত্রদলের সমাবেশে যোগ দিতে ২০ কোচের বিশেষ ট্রেন ভাড়া Aug 01, 2025
img
অনিয়মের মাধ্যমে অর্জন করা বেনজীরের ‘ডক্টরেট’ ডিগ্রি স্থগিত করল ঢাবি Aug 01, 2025
img
আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দোসররা প্রশাসনে ঘাপটি মেরে আছে : গোলাম পরওয়ার Aug 01, 2025
কানাডার ওপর আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে দিলেন ট্রাম্প! Aug 01, 2025
img
মার্কিন প্রবাসী জায়ানকে নিয়েই অনূর্ধ্ব-২৩ দলে চমক Aug 01, 2025
বিশ্বের প্রথম জাতীয় পর্যটন ক্রিপ্টো পেমেন্ট সিস্টেম চালু করলো ভুটান Aug 01, 2025
img
রাশিয়ায় সরকার পরিবর্তনের আহ্বান জেলেনস্কির Aug 01, 2025
img
জুলাই যোদ্ধা নামে জনগণকে কষ্ট দিলে তা প্রতিহত করা হবে: তারেক Aug 01, 2025
img
বিশ্ব অ্যাকুয়াটিকসে সর্বকনিষ্ঠ পদকজয়ীর রেকর্ড এখন ইউ জিদির Aug 01, 2025
img
আ.লীগ ক্যাম্প বানিয়ে মানুষ হত্যা করেছে : টুকু Aug 01, 2025
img
বিসিবিতে রদবদল: এইচপিতে নতুন দায়িত্বে শাহরিয়ার নাফীস, পরিচালনা বিভাগে জামাল বাবু Aug 01, 2025
img
বিতর্ক দিয়ে শেষ হলো জাতীয় বক্সিং প্রতিযোগিতা Aug 01, 2025
img
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিএনপি: সালাহউদ্দিন Aug 01, 2025
img
যে পোকা রাতে চলার জন্য ব্যবহার করে আকাশের তারার আলো Aug 01, 2025
বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী রহঃ এর কাহিনী | প্রতিদিনের ইসলামিক কার্টুন Aug 01, 2025