বোনকে উৎসাহ দিতে পল্টনের মোহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার। সমর্থন জোগালেও তার মুখে জয়ের হাসি এনে দিতে পারেননি বক্সার আফরা খন্দকার।
জাতীয় বক্সিংয়ের ৫২ কেজি ওজন শ্রেণির ফাইনালে যে হেরে গেছেন আফরা। জিতেছেন জিনাত ফেরদৌস।
যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী এই বক্সার এতটাই দোর্দণ্ড প্রতাপ দেখিয়ে সোনার পদকটা গলায় ঝুলিয়েছেন যে আফরার রিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকাটা ভীষণ কষ্টের ছিল।
জিনাতের কাছে যে তিন রাউন্ডের মোট ৯ মিনিটের খেলায় পাত্তাই পাননি আফরা। ম্যাচে এতটাই আক্রমণাত্মক ছিলেন সোনাজয়ী বক্সার। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তার পাঞ্চে ছিল বেশ শক্তি ও গতি।
তাতে প্রতিপক্ষকে পাল্টা ঘুষি তো দূরের কথা, ডিফেন্স করতেই হিমশিম খাচ্ছিলেন আফরা। তাতে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করতে বিন্দুমাত্র অসুবিধায় পড়তে হয়নি পাঁচ বিচারককে।
সোনা জয়ের পর দারুণ খুশি হয়েছেন জিনাত। বক্সিংকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন ধরে আলোচনায় থাকা বক্সার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘কত মানুষ আজ আমাদের খেলা দেখতে এসেছে।
সমর্থন দিচ্ছে, খুব ভালো লাগছে। প্রথমবার দেশের মাটিতে খেলে সেরা হওয়ায় আমি সত্যি খুবই আনন্দিত।’
প্রতিপক্ষের প্রশংসাও করেছেন জিনাত। হাল ছেড়ে না দিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের মানসিকতা দেখিয়েছেন আফরা। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশি ছেলে-মেয়েরা অনেক খেলতে চায়।
কিছু আছে না, যারা হাল ছেড়ে দেয়, ওরা এমন না। ও (আফরা) আজ হাল ছাড়তে রাজি ছিল না। এটা আমার ভালো লেগেছে। কোচ দিয়ে ওদের টেকনিক্যাল বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা উচিত।’
অন্যদিকে ম্যাচ হারায় আক্ষেপ না থাকলে সুযোগ-সুবিধায় রয়েছে আফরার। হতাশাজড়িত কণ্ঠে আফরা বলেছেন, ‘হার নিয়ে আক্ষেপ নেই। তিন রাউন্ড লড়াই করতে চেয়েছিলাম, সেটা করতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ। বিদেশের মাটিতে অনুশীলনের সুবিধা পাওয়ায় সে আমাদের চেয়ে অনেক ভালো। এই সুযোগ-সুবিধা পেলে আমরাও ভালো করব।’
এমকে/টিএ