স্লোভেনিয়া সরকার ঘোষণা করেছে যে তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের অস্ত্র রপ্তানি, আমদানি ও স্থানান্তর নিষিদ্ধ করেছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে স্লোভেনিয়ার ভূখণ্ড দিয়ে কোনও সামরিক সরঞ্জাম যাতায়াত বা লেনদেন আর বৈধ থাকছে না।
স্লোভেনিয়া সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, গাজার মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিজেই কার্যকর কোনও পদক্ষেপ নিতে পারছে না, যার পেছনে রয়েছে অভ্যন্তরীণ মতপার্থক্য ও ঐক্যহীনতা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “গাজায় মানুষ মরছে, কারণ তাদের মানবিক সহায়তা ব্যবস্থা পরিকল্পিতভাবে অস্বীকার করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রত্যেক দায়িত্বশীল রাষ্ট্রের উচিত এগিয়ে আসা—even if it means acting ahead of others (অন্যদের আগেই এককভাবে পদক্ষেপ নেওয়া)।”
প্রধানমন্ত্রী রবার্ট গোলোবের নেতৃত্বাধীন সরকার জানায়, তারা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার রক্ষায় ‘সাংবিধানিক ও নীতিগতভাবে’ অটল এবং এজন্য ইসরায়েল সরকারের বিরুদ্ধে আরও কিছু পদক্ষেপ আসন্ন সপ্তাহগুলোতে নেওয়া হবে যদিও এখনো বিস্তারিত জানানো হয়নি।
স্লোভেনিয়ার এই পদক্ষেপ ইউরোপীয় রাজনীতিতে একটি শক্ত বার্তা হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকেরা, যেখানে গাজার চলমান মানবিক সংকট নিয়ে বহু দেশ প্রকাশ্যে সমালোচনা করলেও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দ্বিধায় রয়েছে। স্লোভেনিয়া সেই নির্লিপ্ততা ভেঙে এবার সরাসরি অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার পথ নিল।
ইউটি/টিএ