প্যারিস, আলো আর স্বপ্নের শহর। ইউরোপের এই রোমান্টিক গন্তব্য পর্যটকদের কাছে বরাবরই আকর্ষণের শীর্ষে। ঐতিহাসিক স্থাপনা, শিল্প-সংস্কৃতির সমৃদ্ধ ভাণ্ডার, আর মনমুগ্ধকর খাবারের সুবাসে মোড়া প্যারিসের প্রতিটি মুহূর্ত যেন এক একটি শিল্পকর্ম।
শহরের পরিচিতি শুরু হয় আইফেল টাওয়ার দিয়ে, যা প্যারিসের আকাশরেখা চোখ জুড়িয়ে দেয়। ল্যুভর মিউজিয়ামের মোনালিসা কিংবা ভেনাস দ্য মিলোর মতো অমূল্য শিল্পকর্ম দেখার জন্য বছরজুড়ে ছুটে আসেন বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ। নটরডেম ক্যাথেড্রালের গথিক স্থাপত্য বা মনমার্ত্র এলাকার শিল্পীমনা পরিবেশও আপনাকে সময়ের ভেতর ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।
প্যারিস মানেই খাবারের স্বর্গ। সকালে গরম গরম ক্রোসাঁ, দুপুরে ক্লাসিক এসকারগো বা কক আ ভ্যান, আর সন্ধ্যায় হালকা ক্রেপ,সবকিছুর সঙ্গেই থাকে উৎকৃষ্ট মানের ফরাসি ওয়াইন বা সুগন্ধি কফি। শহরের ফুটপাতের পাশে ছোট্ট ক্যাফেতে বসে এসব উপভোগ করাই প্যারিস ভ্রমণের অনন্য অভিজ্ঞতা।
ভ্রমণের জন্য বসন্ত (এপ্রিল–জুন) বা শরৎকাল (সেপ্টেম্বর–অক্টোবর) সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। এই সময় আবহাওয়া মনোরম, আর পর্যটকের ভিড়ও তুলনামূলক কম থাকে। শহর ঘোরার জন্য মেট্রো নেটওয়ার্ক দ্রুত ও সহজ উপায়, তবে চাইলে পায়ে হেঁটেও আবিষ্কার করা যায় প্যারিসের গলি-প্রতিটি কোণ। থাকার জন্য লে মারেই বা সাঁ জার্মাঁ দে প্রের মতো এলাকায় পাওয়া যায় নানা ধরনের হোটেল ও অতিথিশালা।
প্যারিস আসলে এক অনুভূতি, যা একবার ছুঁয়ে গেলে মনে গেঁথে থাকে আজীবন। হোক সেটা আইফেল টাওয়ারের চূড়ায় দাঁড়িয়ে শহরের দিকে তাকানো, কিংবা অচেনা কোনো রাস্তায় হঠাৎ মেলে ধরা শিল্পীর আঁকা ছবি,প্যারিসের প্রতিটি মুহূর্ত আপনাকে নতুনভাবে মুগ্ধ করবে।
এফপি /এসএন