আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের নানা পরিবর্তনের মধ্যেও পাকিস্তান ও চীনের বন্ধন অটুট, দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত এবং গভীর আস্থার বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আসিম মুনির।
শুক্রবার রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী সদরদপ্তরে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) ৯৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত জিয়াং জাইডং। এছাড়া চীনা দূতাবাসের প্রতিরক্ষা এটাচে মেজর জেনারেল ওয়াং ঝং, দূতাবাসের কর্মকর্তারা এবং পাকিস্তানের তিন বাহিনীর জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেনারেল মুনির বলেন, “চীনের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব একেবারে অনন্য, সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং দারুণ স্থিতিশীল। এই সম্পর্ক কেবল দুই দেশের কূটনৈতিক স্তরে নয়, বরং কৌশলগত অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল উদাহরণ।”
সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআর-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জেনারেল মুনির পাকিস্তান-চীন সম্পর্কের কৌশলগত গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “এই সম্পর্ক পারস্পরিক আস্থা, নিঃশর্ত সহায়তা এবং অভিন্ন প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”
তিনি আরও বলেন, “আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন এবং ভূরাজনৈতিক হিসাব-নিকাশের ভেতরেও পাকিস্তান ও চীনের বন্ধুত্ব অটল ও অচঞ্চল থেকে গেছে।”
“আমাদের এই দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্ব কেবল আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাই নিশ্চিত করছে না, বরং অভিন্ন কৌশলগত স্বার্থ রক্ষায়ও কার্যকর ভূমিকা রাখছে,” বলেন পাকিস্তান সেনাপ্রধান।
অনুষ্ঠানে পিপলস লিবারেশন আর্মির ভূমিকাকেও বিশেষভাবে স্বীকৃতি দেন মুনির। তিনি বলেন, চীনের প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা এবং রাষ্ট্র গঠনে পিএলএ’র ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
চীনের রাষ্ট্রদূত জিয়াং জাইডং তার বক্তব্যে পাকিস্তানের প্রতি চীনের অবিচল সমর্থন এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বে চীনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আবারও প্রতিফলিত হলো দুই দেশের গভীর কূটনৈতিক ও সামরিক বন্ধন, যা আঞ্চলিক রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছে।
ইউটি/টিএ