যদিও বাংলাদেশকে ২০% সমন্বিত পারস্পরিক শুল্কের শিকার করা হয়েছে, প্রতিযোগিতামূলক রফতানি-ভিত্তিক দেশগুলিও একই রকম পারস্পরিক শুল্কের হারের মুখোমুখি হয়েছে।
ইউনাইটেড স্টেটস ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড কমিশন (ইউএসআইটিসি) অনুসারে, ২০২৪ সালে, বাংলাদেশ মার্কিন পোশাক আমদানিতে প্রায় ৯% বাজারের শেয়ার রেখেছিল যা চীন ও ভিয়েতনামের মার্কেট শেয়ার এর তুলনায় যথাক্রমে ২১% এবং ১৮% বাজারের শেয়ার ছিল। চীন এবং ভিয়েতনাম যথাক্রমে ৩০% এবং ২০% শুল্ক বসানো হয়েছে ,যদিও চীনের সাথে আলোচনা চলছে। ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া এর মতো অন্যান্য রফতানিকারীরাও একইভাবে ১৯% পারস্পরিক শুল্কের শিকার হয়েছেন। ভিয়েতনাম এবং চীন দুই দেশই বাংলাদেশ এর তুলনায় লেবার খরচ বেশি ও গ্রীন ফ্যাক্টরি এর সংখ্যা বাংলাদেশ এর তুলনায় কম।
এমনকি ভারতের সাথে তুলনা করার সময় ও, ভারতের আগের শুল্ক ১০% দাঁড়িয়েছিল এবং বাংলাদেশের পক্ষে এটি ছিল ১৫%। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সাম্প্রতিক অতীতে উচ্চতর অর্ডারগুলি ক্রমেই পেয়ে আসছিলো। ফলস্বরূপ ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়ই ৩৫% থাকা শুল্কে দাঁড়িয়ে, বাংলাদেশ ভারতের কাছে মার্কিন আরএমজি সেক্টরে মার্কেট শেয়ার হয়তো বা হারাবে না।
এই শুল্কগুলি আরএমজির অন্যান্য রফতানিকারীদের একইভাবে প্রভাবিত করবে তা প্রদত্ত, মার্কিন প্রশাসনের এই পদক্ষেপ থেকে বাংলাদেশ পোশাকের বাজারের শেয়ার হারাবে বলে আশা করা যায় না।
এর বিপরীতে অন্তর্বর্তকালীন সরকার (এন ডি এ )এগ্রিমেন্ট এ কি কি চুক্তি মেনে নিয়েছে তা সাধারণ জনগণ জানে না, কিন্তু যদি বাড়তি কোনো সুবিধা এই সরকার দিয়ে থাকে এর মূল্য আগামী দিনের নির্বাচিত সরকার ও দেশ এর জনগণ কে মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি এর বিপরীতে আদায় করতে হতে পারে। শুধু পোশাক শিল্প কে টিকিয়ে রাখার জন্য যেন টাকার অবমূল্যয়ন ও রিসার্ভ ঘাটতি না হয়, আপাততো এই আশা করা কাম্য।
এটা একজনের লেখা এবং তার মন্তব্য। এটি একটি গণমাধ্যমে মতামত বা কলাম হিসেবে প্রকাশের জন্য একটি হেডলাইন দরকার। একটা চমৎকার হেডলাইন বাছাই করে দাও
লেখক: সাঈদ ইব্রাহিম আহমেদ: সহকারী অধ্যাপক, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ