ক্লাব বিশ্বকাপের কয়েকদিন পরই ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলো প্রাক-মৌসুমের প্রস্তুতিতে নেমে পড়ে। ফুটবলারদের বিশ্রাম বড় করার জন্য এই জায়গায় ব্যতিক্রম ছিল বায়ার্ন মিউনিখ। তারা প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রায় সবার শেষে। অলিম্পিক লিঁওর বিপক্ষে ওই ম্যাচে গতকাল ২-১ গোলে জয় পেয়েছে তারা।
বায়ার্ন মিউনিখ ১৬ আগস্ট ডিএফএল সুপারকাপের ফাইনালে স্টুটগার্টের মুখোমুখি হবে। তার আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে আরও দুটি—৭ আগস্ট টটেনহ্যাম ও ১২ আগস্ট প্রতিপক্ষ গ্রাসহোপার্স।
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় এই ম্যাচ দিয়েই বায়ার্নে অভিষেক হয়েছে লুইস দিয়াজের। ১ হাজার ৬৬ কোটি টাকার বিনিময়ে গত ৩০ জুলাই লিভারপুল থেকে বায়ার্নে দলবদল করেন তিনি। কলম্বিয়ান ফুটবলার অভিষেক ম্যাচে বদলি নেমে গোল তো পানই-নি, পাননি কোনো অ্যাসিস্টও।
লিঁও-বায়ার্নের ম্যাচের ফল দেখে অবশ্য ধারণা করা যাবে না, প্রথমার্ধ কতটা জমজমাট ছিল। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে কেউ কাউকে এক চুলও ছাড় দেয়নি। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে খেলার বয়স বাড়তে থাকলেও প্রথমার্ধে কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি।
বিরতির পরই বদলে যায় খেলার কৌশল। কাউন্টার অ্যাটাকে দিশেহারা হয়ে পরে লিঁও। ৫৩ মিনিটে লিঁওর ডিফেন্ডারের ভুলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ৫৩ মিনিটে স্পট কিক থেকে দলকে এগিয়ে দেন ওলিস। গোল হজম করে জমাট ডিফেন্স লাইন থেকে প্রতি আক্রমণের চেষ্টা চালায় লিঁও। কিন্তু ভিনসেন্ট কোম্পানির কৌশলে আবারো বোকা বনে যেতে হয় সফরকারীদের। ৬২ মিনিটে আবারো দৃশ্যপটে হাজির ওলিস।
দারুণ এক গোল করে দলকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন দেন এই ফরোয়ার্ড।
৮৩ মিনিটে এক গোল শোধ করে লিঁও। রদ্রিগেজের সেই গোলে আবারো জমে উঠে ম্যাচ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর সমতায় ফেরা হয়নি তাদের। ২-১ ব্যবধানের স্বস্তির জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন।
এমআর/টিকে