বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী মাহাদী হাসান পান্থকে হত্যার অভিযোগে কদমতলী থানায় হওয়া মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৪ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন সকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার উপপরিদর্শক মো. আরিফ হোসাইন তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন।
পরে সকাল সোয়া ১০টার দিকে হাজতখানা থেকে তাদের বের করা হয়।
পুলিশ পাহারায় তাদের ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে আনা হয়। আদালতের সিঁড়ি বেয়ে তাদের তোলা হয়। সবার সামনে ছিলেন মেনন, মাঝে ইনু এবং পেছনে ছিলেন পলক।
আদালতের তৃতীয় তলায় উঠলে ইনু সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে যান। তখন সঙ্গে থাকা পলক ও মেননও থেমে যান। এসময় ইনু বলেন, তার হার্টে সমস্যা।কিছুক্ষণ পর তাদেরকে ফের সিঁড়ি দিয়ে নেওয়া হয়।
আরও এক তলা ওঠার পর চতুর্থ তলায় গিয়ে ফের তারা থেমে যান। সেখানে কিছুক্ষণ তারা দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর তারা হাঁপাতে হাঁপাতে আদালতের কাঠগড়ায় ওঠেন। শুনানি শেষে তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর পুলিশ প্রহরায় তাদের আদালতের পঞ্চম তলার লিফটে করে নিচে নামানো হয়।
সেখান থেকে পায়ে হেঁটে তাদের হাজতখানায় নেওয়া হয়।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই রাজধানীর কদমতলী থানাধীন এলাকায় তোলারাম কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মাহাদী হাসান পান্থ আন্দোলনে অংশ নেন। ঘটনার দিন বিকাল ৪টায় আসামিদের ছোড়া গুলি তার মুখের সামনের অংশ দিয়ে ঢুকে মাথার পেছন দিয়ে বেরিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গত ৮ নভেম্বর কদমতলী থানায় মামলা হয়। এ মামলায় রাশেদ ৭, ইনু ৮ ও পলক ৯ নাম্বার এজাহারনামীয় আসামি।
এমআর/টিকে