দেশে যে ব্যাপক চাঁদাবাজি ও মব সন্ত্রাস শুরু হয়েছে এটা জ্যামিতিক হারে বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে যারা শক্তির আধার তারা বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে বিভিন্ন উপায়ে মব সন্ত্রাস চালাচ্ছে। এই যে মব সন্ত্রাস সেটা আমলা, রাজনীতিবিদ, ক্ষমতাধর উপদেষ্টা, যারাই এই কর্মটি চালাচ্ছেন মূলত তাদের পতন, দুর্ভোগ এবং দুর্দশা এই মবের মধ্যেই নিহিত। যেখান দিয়ে তাদের শুরু ঠিক সেই জায়গাতেই তাদের শেষ হবে।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিও বার্তাতে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম মাওলা বলেন, আওয়ামী লীগের যেসব চাঁদাবাজ ছিল তারা চলে গিয়েছেন। তাদের জায়গা দখল করে নিজেরা নিজেরা অনেকেই এই চাঁদাবাজির আধিপত্য বজায় রাখার জন্য মারামারি, কাটাকাটি খুন খারাবি চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা খুব দ্রুত চাঁদাবাজির যে যাতাকল সেই যাতাকলে পড়ে যাবেন।
তিনি বলেন, ‘এখন যারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মববাজি এসব বিষয়ে প্রমোট করছেন আর সুবিধা ভোগ করছেন তাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার সম্পূর্ণ পঁচে গেছে। আগামী দিনে তারা দেশ শাসন করবে, ভালো কোনো পদে বসবে, মানুষের শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসার জায়গায় পৌঁছাবে এটা শূন্য, অসম্ভব একটা বিষয়। এটা হবে না কারণ রাজনীতিতে ঢোকার জন্যে ন্যূনতম একটা ইমেজ দরকার আছে। কোনো মানুষের ইমেজ যদি চলে যায় পরে আর এটা হয় না।’
রনি বলেন, ‘যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসে জনগণের হক নষ্ট করেছে তারা দ্বিতীয়বার এখানে ফেরত আসতে পারে না। এই সময়টিতে আল্লাহ অনেক মানুষকে অনেক সুযোগ করে দিয়েছেন। কারো কাছে এই পরীক্ষা ছিল যে, তোমার সামনে হাজার কোটি টাকা থাকবে— তুমি যদি এই টাকার লোভ সামলাতে পারো তাহলে তোমাকে রাষ্ট্র ক্ষমতা দেওয়া হবে। কারো কাছে পেশি শক্তি দেখানোর সুযোগ ছিল যে, তুমি যদি এই পেশি শক্তি দমন করে, মব সন্ত্রাস না করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারো — তোমাকে প্রজ্ঞাবান করা হবে, ক্ষমতাধর করা হবে এবং সত্যিকার অর্থে তোমাকে বিজয়ী করা হবে।’
রনি আরো বলেন, ‘২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পাঁচ তারিখ থেকে আজ পর্যন্ত যে অপরাধগুলো হয়েছে এগুলো কি আগের যে অপরাধ— আওয়ামী জামানার সময় তার চেয়ে কোনো অংশে কম? কোনটি কমে গেছে? নাকি এর মধ্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস পেয়েছেন? এই বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে ভালো কর্মের কোনো সন্ধান নেই, কিন্তু মন্দ কর্ম বেড়ে চলছে।
এমআর/টিকে