সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনের আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান।
তিনি বলেন, নির্বাচন ঘোষণার পর কেউ কেউ বলেন পিআর না হলে নাকি নির্বাচন হতে দেবেন না। সাড়ে ১১ কোটি ভোটার পিআর চেনে না। যারা বলেন তারা মুক্তিযুদ্ধের সময়ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিলেন। আমরা কী দেশ স্বাধীন করি নাই? আমরা তাদের উদ্দেশ্যে বলব- নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে আসুন, জনগণ ভোট দিলে ক্ষমতায় যাবেন, ভোট না দিলে বিরোধী দলে বসবেন। অযথা দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করবেন না। যদি নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করেন ৭১’র মতো জবাব পাবেন। আগামী নির্বাচন ডামির হবে না, দিনের ভোট রাতে হবে না। নির্বাচন ছাড়া এদেশে সমৃদ্ধ গণতন্ত্র ও অর্থনীতি আসবে না।
বুধবার (৬ আগস্ট) শিববাড়ি মোড় জিয়াহল চত্বরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি আয়োজিত বিজয় মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আহমেদ আযম খান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ ১০ বছর নিরলসভাবে কাজ করেছেন। তিনি যেমন দলকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন, তেমনি এদেশের ফ্যাসিবাদী বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করে তুলতে পেরেছিলেন। তার নেতৃত্বে এদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা সম্মিলিতভাবে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান ফ্যাসিবাদী শাসনকে থামিয়ে দিতে পেরেছে। তারেক রহমানই ছিলেন গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক। তার নেতৃত্বে আজ আমরা ফ্যাসিস্ট মুক্ত হতে পেরেছি।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন, বিএনপি তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। অন্যদিকে ধর্মব্যব্যবসায়ীরা নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি চাইছে। জনগণ সব ক্ষমতার উৎস। লড়াই কিন্তু শেষ হয়নি। পতিতরা দিল্লিতে বসে ষড়যন্ত্র করে আসতে চায়, কিন্তু জনগণ হতে দেবে না।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ৯০’র গণঅভ্যুত্থান ও ৯৬ সালেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার তিন মাসের মধ্য নির্বাচন দিয়েছিল। কিন্তু এবার আমরা সময় দিয়েছি। যাতে মৌলিক সংস্কার শেষ করতে পারে। ইতোমধ্যে ঐকমত্য কমিশন ঘোষণা চূড়ান্ত করছে। বিএনপি এতে সহমত প্রকাশ করেছে। যা আগামীদিনের গণতন্ত্র, স্বচ্ছ সংসদ কার্যকর করবে।
খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন— জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু হোসেন বাবু এবং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম, রেহেনা আক্তার, সৈয়দা নার্গিস আলী, ইঞ্জিনিয়ার নুরুল ইসলাম বাচ্চু, মজিবর রহমান, ফরিদ আহমেদ মোল্লা, আসলাম পারভেজ, এজাজুর রহমান শামীম প্রমুখ।
এসএন