জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, নির্বাচনের যে সময়সীমা ঘোষণা করা হয়েছে, তা নিয়ে আমাদের অভিযোগ নেই। আমরা একে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মুজিবুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি রেজাউল করিম, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম, আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি এম কোরবান আলী প্রমুখ।
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই ডিক্লারেশন ঘোষণা করেছেন। গোটা জাতি এই জুলাই ঘোষণাপত্রের অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু ঘোষণা এলেও জুলাই সনদ এখনো বাকি। এছাড়া যেসব ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ ঐক্যমত্য তৈরি হবে, সেগুলোকে জুলাই চার্টার নামে আরেকটা দলিল তৈরি করা হোক। যাতে এর ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, তবে গত ৫ আগস্ট যে আশা নিয়ে আমরা জুলাই ডিক্লারেশন অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম, সে আশা আমাদের পূরণ হয়নি। একটা অসম্পূর্ণ বিবৃতির মতো তা পাঠ করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠে আসছে যে, এই ঘোষণাপত্র তৈরিতে কোনো রাজনৈতিক দল কি প্রভাব বিস্তার করেছে? বিশাল জনগোষ্ঠীর অবদানকে এখান থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, এছাড়া আমরাও অনেক প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলোও ঘোষণাপত্রে স্থান পায়নি। এই ঘোষণাপত্র তৈরি করতে গিয়ে একটি বড় জনগোষ্ঠীর আশা আকাঙ্ক্ষাকে স্থান দিতে না পারেন, তাহলে সামনের দিনগুলোতে আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে কতোটা প্রত্যাশা করতে পারি?
সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, জুলাই ঘোষণাকে সংশোধন করতে হবে। আলেম হত্যা, শাপলা চত্বর হত্যাসহ অনেক ইতিহাস ঘোষণাপত্রে স্থান পায়নি। ঘোষণায় এমন কিছু আনবেন, যাতে বিশেষ রাজনৈতিক দলেরই কথা স্থান পাবে, অন্যদের কথা স্থান পাবে না, সেটা হতে পারে না। প্রধান উপদেষ্টা, আপনার উচিত নিজেকে নিরপেক্ষ অবস্থানে রাখা। আপনার কোনো দুর্বলতার কারণে যেন রক্ত দিয়ে গড়া জাতির আকাঙ্ক্ষার স্বপ্ন নষ্ট না হয়, সেটা বিবেচনায় রাখবেন।
এমকে/টিকে