প্রহসনের নির্বাচন ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ঢাকার ১২তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আব্দুল্লাহ আল মামুন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন তার আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম সজীব জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন। গত ২২ জুন নুরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ২৩ জুন তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। প্রথম দফার রিমান্ড শেষে গত ২৮ জুন আবারও তার চার দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।
পরে গত ১ জুলাই এ মামলায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন নুরুল হুদা।
এ মামলায় গত ২৫ জুন মগবাজার এলাকা থেকে আরেক সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ২৬ জুন তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ২৮ জুন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব ‘পালন না করে’ উল্টো ‘ভয়-ভীতি দেখিয়ে’ জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে গত ২২ জুন মামলা করে বিএনপি। পরবর্তীতে গত ২৫ জুন এ মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়।
মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি কে এম নুরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়েছে।
এ ছাড়া সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজীর আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে এই মামলায়।