বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, রাজনৈতিক ভিন্ন মত থাকতে পারে এটা ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু কোনো দলের প্রভাব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর এমনভাবে চাপানো ঠিক না, যেটাতে মনে হয় যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখল করা হয়েছে। এটা জবরদস্তি। সেটা কৌশলেই হোক আর বাস্তবেই হোক। আমরা (বিএনপি) এটার বিরোধী।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর মহাখালীর গাউসুল আজম কমপ্লেক্সে মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে লিঁয়াজো কমিটির সভা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাই তাহলে চেষ্টা করব কোনো প্রতিষ্ঠানেই যেন কোনো ধরনের জবরদস্তি না হয়। সবাই যেন যার যার ইচ্ছা অনুযায়ী, যা অনুশীলন করতে চায় তা করতে পারে। ক্ষমতায় এলে নিশ্চিত করব যাতে আরবি বিশ্ববিদ্যালয়সহ কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেন কারো দখলে না থাকে। শিক্ষার প্রকৃত অগ্রগতি যেন নিশ্চিত হয়।
এর আগে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সালাহ উদ্দিন আহমদ।
নজরুল ইসলাম বলেন, মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন। আপনাদের হাত দিয়ে প্রতিবছর লাখ লাখ ছেলে-মেয়ে দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে এবং তারা সমাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, আপনারা (বিএনপি নেতৃদ্বয়) নিশ্চিন্তে থাকুন, সহিহ ইসলামের পক্ষে যারা থাকবেন, এ দেশের আলেম-ওলামারা, ২০ হাজার দরবার, ৫৫ লাখ ছাত্র-ছাত্রী তাদের অভিভাবক সবাই মিলে তাদের সাথে থাকবেন। তাদের পেছনে এ দেশের লাখ লাখ হাক্কানী আলেম-ওলামাদের পাশাপাশি কোটি কোটি ভোটারও থাকবে।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী। এ সময় জমিয়াতের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন জেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ইউটি/টিএ