বর্ষাকালে একটু ঠাণ্ডা লাগালেই জ্বর-সর্দি দেখা দেয়। এই সময়ে ডেঙ্গু, টাইফয়েড ও চিকুনগুনিয়ার মতো নানা রোগের প্রকোপ বাড়ে। তবে ঘরে ঘরে ডেঙ্গু না হলেও, সর্দি-কাশি আর জ্বরে কাবু হয়ে যান ছোট-বড় সবাই। এই মৌসুমে প্রায় সবাই কোনো না কোনো সমস্যায় ভুগছেন।
তাই এই আবহাওয়ায় সুস্থ থাকতে প্রয়োজন সচেতনতার। শুধু ওষুধ খেলেই সুস্থ থাকা সম্ভব নয়। শরীরের এনার্জি ধরে রাখতে ওষুধের পাশাপাশি এমন কিছু খাবার খেতে হবে, যেগুলো বাড়তি শক্তি জোগাতে সাহায্য করবে। অসুস্থ শরীরে না খেয়ে থাকা কোনো কাজের কথা নয়।
এমন কিছু খাবার খেতে হবে, যা ওষুধের মতো কাজ করবে। চলুন, তেমন কয়েকটি খাবারের কথা শুনি।
নারকেল পানি
জ্বর, সর্দি-কাশি হলে শরীরে পানির পরিমাণ কমে যায়। শরীর আর্দ্র রাখতে এই সময় তাই বেশি করে পানি খাওয়া প্রয়োজন।
পানি ছাড়াও খেতে পারেন ডাবের পানি। এই পানীয় শরীরে পুষ্টি ও আর্দ্রতা জোগায়, তেমনটাই বলে থাকেন চিকিৎসকরা। তাই পানি খাওয়ার পাশাপাশি দ্রুত সুস্থ হতে খেতে পারেন ডাবের পানি। বিভিন্ন পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই পানীয় সর্দি-কাশির সঙ্গে লড়তে দারুণ সাহায্য করে।
স্যুপ
পুষ্টিবিদদের মতে, জ্বর, সর্দি-কাশিতে গরম বেশ স্বস্তিদায়ক।
গলা ব্যথা হলেও স্যুপ খেলে স্বস্তি পাবেন। বুকে জমে থাকা শ্লেষ্মাও বাইরে বের করে দিতে স্যুপ ভরসাযোগ্য। ঠাণ্ডা লাগলে মুখের স্বাদও চলে যায়। মুখের স্বাদ ফেরাতে খেতে পারেন চিকেন স্যুপ। গোলমরিচ ছড়িয়ে নিলে আরো ভালো লাগবে।
রসুন
ঠাণ্ডা লাগা প্রতিরোধ করতে রসুন অন্যতম দাওয়াই। শুধু সর্দি-কাশি নয়, রসুন অনেক রোগ প্রতিরোধ করতেও সক্ষম। ভেতর থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে রসুনের জুড়ি মেলা ভার। অনেকেরই গরম ভাতের সঙ্গে কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস আছে। ঠাণ্ডা লাগলে তাই অবশ্যই রসুন খেতে পারেন।
সূত্র : এই সময়
এমআর