আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম শুক্রবার স্থিতিশীল থাকলেও পুরো সপ্তাহজুড়ে বড় ধরনের পতন দেখা গেছে—এটি জুনের পর সর্বোচ্চ। খবর রয়টার্সের।
শুক্রবার ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ১৬ সেন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৬৬.৫৯ ডলার, আর যুক্তরাষ্ট্রের ডব্লিউটিআই অপরিবর্তিত থেকে ৬৩.৮৮ ডলারে স্থির থাকে। তবে পুরো সপ্তাহে ব্রেন্টের দাম ৪ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ডব্লিউটিআইয়ের দাম ৫ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, দিনের শুরুর দিকে মার্কিন তেলের দাম ১ শতাংশের বেশি কমে যায় ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদন প্রকাশের পর। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে একটি চুক্তির পথে এগোচ্ছে, যা রাশিয়ার দখলে থাকা কিছু অঞ্চলকে তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখবে। এ নিয়ে চলতি সপ্তাহেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে শীর্ষ বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া দাম পতনে মূল কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা শুল্কবৃদ্ধি, যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া যুদ্ধবিরতি আলোচনা, এবং ওপেক প্লাসের উৎপাদন বৃদ্ধিকে দায়ী করছেন।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন ভারত ও চীনের ওপর শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়ান তেল কেনার কারণে। যুক্তরাষ্ট্রও বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছে একাধিক দেশের পণ্যের ওপর, যা বৈশ্বিক চাহিদা হ্রাসের আশঙ্কা বাড়িয়েছে।
তেলের উৎপাদন বাড়ায় ওপেক প্লাস এবং যুক্তরাষ্ট্রে রিগ সংখ্যা বেড়ে ৪১১-এ পৌঁছানোও বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
এসএন