গত কয়েক বছরে ম্যাজিক্যাল চেয়ারের মতোই প্রধান কোচ পরিবর্তন করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। বারবার এমন কোচ পরিবর্তনের পেছনে দেশটির সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকটাই ভূমিকা থাকে। কারণ কোনো সিরিজ বা টুর্নামেন্টে দল খারাপ করলেই প্রধান কোচের সমালোচনায় মেতে উঠেন সাবেকরা। ফলে অনেক সময় চাপে পড়ে কোচ পরিবর্তন করতে বাধ্য হয় বোর্ড।
পাকিস্তানের বর্তমান প্রধান কোচ মাইক হেসনও এবার সাবেকদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন। কারণ সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর ও চলমান ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তান। আর দলের এমন পারফরম্যান্সের দায় পড়ছে কোচের কাঁধে।
এশিয়া কাপের কথা মাথায় রেখে প্রায় প্রতি ম্যাচেই ক্রিকেটারদের পরখ করে দেখছে পাকিস্তান। গত জুলাইয়ে বাংলাদেশ সফরে এসে প্রায় প্রতি ম্যাচেই একাদশে পরিবর্তন এনেছে তারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান সিরিজেও এমন চিত্র দেখা গেছে।
প্রথম ওয়ানডেতে জেতার পর একাদশে তিনটি পরির্তন আনে পাকিস্তান। সিরিজের শেষ ম্যাচেও একটি পরিবর্তন এনেছে তারা।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার বাসিত আলী বলেন, ‘আমার মতে, আমাদের প্রধান কোচের উচিত অভিভাবকের মতো এত পরিবর্তন না করে পাকিস্তানের ক্রিকেটের সহায়ক হিসেবে কাজ করা। কখনো দুইটা পরিবর্তন আবার কখনো তিনটা অনেকটা ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের মতো। আপনি জানেন উত্তর কী দেবে? বড় ইভেন্টের জন্য আমরা দল গোছাচ্ছি।’
‘পাকিস্তান দলের আসল সমস্যাটা হচ্ছে আত্মবিশ্বাসের অভাব। আপনি যদি ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস না দেন এবং এভাবে পরিবর্তন করতে থাকেন তাহলে আমার মনে হয় তারা কেবল কাঠমান্ডুর মতো দলের সঙ্গে পারফর্ম করবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আত্মবিশ্বাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ, পাকিস্তান দলে এটাই মিসিং।’-যোগ করেন তিনি।
এমকে/টিএ