বিসিবির বকেয়া পাওনা নিয়ে তিন দিন আগে নিজের অভিমত দেন চিটাগাং কিংসের মালিক সামির কাদের চৌধুরী। তিনি জানান, ৪৬ কোটি টাকার পাওনার বিষয়ে বিসিবির কাছেও কোনো জবাব নেই।
সেই জবাব যেন আজ পেলেন চিটাগাংয়ের মালিক। যদিও বিসিবি তার নাম উল্লেখ করে বিবৃতি দেয়নি।
তবে বিবৃতিতে বিপিএলের দলটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এসকিউ স্পোর্টস এন্টারপ্রাইস লিমিটেডের অনেকটা আমলনামা তুলে ধরেছে বিসিবি। তাতে বিসিবি নতুন নোটিশে জানিয়ে দিয়েছে, ফ্র্যাঞ্চাইজিটির কাছে ৪৬ কোটি টাকা পায় তারা।
বিপিএলের প্রথম দুই আসরেও এসকিউ স্পোর্টস এন্টারপ্রাইস লিমিটেডের কাছে পাওনা পায় বলে জানিয়েছে বিসিবি। সেই পাওনার জন্য একাধিকবার নোটিশ পাঠানো হলেও তাতে নাকি পাত্তা দেয়নি ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
তার মধ্যে ছিল ২০১৩ সালের ৭ মে সালিসি নোটিশ ও গত ২২ জুলাইয়ের আইনি নোটিশও।
টুর্নামেন্টের নিয়ম ও শর্ত ভঙ্গ করায় এক সময় বিপিএল থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে বাদ দিয়েছিল বিসিবি। পরে অবশ্য পুনরায় ফিরে আসে। তবে অভিযোগ ও বিতর্কের জন্ম দেওয়া পুরনো অভ্যাস যেন ছাড়তে পারেনি তারা।
সর্বশেষ আসরে আগের সবগুলোকে ছাড়িয়ে যায় তারা। ক্রিকেটার-কোচদের বকেয়া বিতর্কের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল মেন্টর শহীদ আফ্রিদির পাওনা পরিশোধ না করা এবং দলের বাঁহাতি ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের পারিশ্রমিক নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য।
পুরনো সব কিছু ভুলে পরে সমঝোতোর চেষ্টা করেছিল বিসিবি। সেই ধারাবাহিকতায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির সঙ্গে একটি চুক্তি করে বিসিবি। এবার শর্তও পূরণ করতে না পারায় গত ২২ জুলাই নোটিশ অনুযায়ী সাড়ে তিন কোটি টাকার সমঝোতার সেই চুক্তি বাতিল করে বিসিবি।
নতুন করে বিসিবি জানিয়েছে, ফ্র্যাঞ্চাইজিটির কাছে বোর্ডের মূল পাওনা ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৬৫ মার্কিন ডলার। আর ২০১২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত মোট সুদ পাবে ২২ লাখ ৩২ হাজার ৯২ ডলার। সব মিলিয়ে ৩৭ লাখ ৮২ হাজার ১৫৬ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৬ কোটি টাকা।
টিকে/