রাশিয়ার তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর শুল্ক আরও বাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট। তিনি বলেছেন, আলাস্কায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠক ব্যর্থ হলে ভারতের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।
স্থানীয় সময় বুধবার (১৩ আগস্ট) ব্লুমবার্গ টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বেসেন্ট বলেন, রাশিয়ার তেল কেনার কারণে আমরা ভারতের ওপর সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপ করেছি। আলোচনার ফল ভালো না হলে এই শুল্ক বা নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়তে পারে।
চলতি মাসের শুরুতে রাশিয়া থেকে তেল ও অস্ত্র কেনার জন্য ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ জরিমানা আর বিদ্যমান ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।
শুক্রবার আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির বিষয়টি প্রাধান্য পাবে। বুধবার ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন, মস্কো শান্তিচুক্তি মানতে অস্বীকৃতি জানালে গুরুতর পরিণতি হবে।
বেসেন্ট বলেন, ইউরোপীয়রা পাশে দাঁড়িয়ে সমালোচনা করছে কীভাবে আলোচনা হবে, কী করা উচিত। ইউরোপীয়দের উচিত আমাদের সঙ্গে এই শুল্কে যোগ দেয়া, সেকেন্ডারি নিষেধাজ্ঞায় অংশ নেয়া।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর সস্তায় রুশ অপরিশোধিত তেলের আমদানি বাড়িয়েছে ভারত। ২০২৪ সালে ভারতের মোট তেল আমদানির ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশই এসেছে রাশিয়া থেকে। যা ২০২১ সালে ছিল মাত্র ৩ শতাংশ।
নয়াদিল্লি জানিয়েছে, বড় জ্বালানি আমদানিকারক দেশ হিসেবে দামের দিক থেকে সবচেয়ে সস্তা তেল কিনতে তারা বাধ্য। যাতে দেশের লাখো দরিদ্র মানুষকে মূল্যবৃদ্ধির চাপ থেকে রক্ষা করা যায়।
মঙ্গলবার ফক্স বিজনেসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বেসেন্ট ভারতকে বাণিজ্য আলোচনায় ‘কিছুটা জেদি’ বলে অভিহিত করেন।
তবে মার্কিন অর্থমন্ত্রীর এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কংগ্রেসের সংসদ সদস্য শশী থারুর। বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে দেয়া পোস্টে তিনি লেখেন, আমি শুনেছি কিছু লোক ভারতকে ‘কিছুটা জেদি’ বলে অভিযোগ করছে। আমি বলব, অন্যায়ের প্রতি নম্র, বিনয়ী বা সহানুভূতিশীল হওয়ার চেয়ে অবাধ্য হওয়া অনেক ভালো।’
এমকে/টিএ