শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব এখনও অভিযোগের পর্যায়ে। যদিও বিদেশি গণমাধ্যমে দুদকের আইনজীবী জানিয়েছেন, তাদের কাছে তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। তবে এটি প্রমাণ হলে, টিউলিপ তাঁর ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারাবেন বলে মনে করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা। কারণ, বিষয়টি অস্বীকার করে আসছেন তিনি। এতে তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে আরও খারাপ প্রভাব পড়বে বলে মত কূটনীতিকদের।
শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। আওয়ামী লীগের সময়ে তাঁর বিষয়ে শুধু ইতিবাচক খবরই প্রকাশ হয়েছে। ৫ আগস্টের পর দুদকের অনুসন্ধানে, প্লট দখল ও অবৈধ বরাদ্দ, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুর্নীতিতে নাম আসে টিউলিপের। এর জেরে যুক্তরাজ্যে মন্ত্রীত্ব ছাড়েন টিউলিপ।
এবার তাঁর দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে চলছে আলোচনা। বিষয়টি টিউলিপ অস্বীকার করলেও, তার এনআইডি কার্ড এবং ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে বলে বিদেশি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী।
কূটনীতিক ও সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবীর বলছেন, দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়টি এখনও অভিযোগেই সীমাবদ্ধ। প্রমাণিত হলে আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে টিউলিপের ওপর।
এম হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত এগুলো তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ। এগুলো আদালতে প্রমাণ হতে হবে। আদালতে প্রমাণ হলে তখন হয়তো বাস্তাব অবস্থার ওপর তার একটা প্রভাব পড়তে পারে বলে আমরা মনে করতে পারি।’
রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে, বাংলাদেশি নাগরিকত্ব থাকলে, টিউলিপের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রমাণ মিলবে। ব্রিটেনে ভোটারদের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবেন তিনি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘যদি এটি অকট্যভাবে প্রশাণ করতে পারে তখন তিনি বাংলাদেশের নাগরিক এটি দিবালকের মতো স্পষ্ট হয়ে যাবে। এতে করে তার দলের লোক এবং দলের ভেতরে যারা কনজারভেটিভ তৃতীয় পক্ষ আছে তারাও সেটাকে ক্যাপিটেল হিসেবে ব্যবহার করবে।’
টিউলিপের এমপি পদ থাকবে কিনা তা নির্ভর করছে তাঁর দল লেবার পার্টির ওপর। তবে দুই দেশের নাগরিক হলে, রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এসএন