নিজের আত্মার সঙ্গী শেফালি জারিওয়ালাকে হারিয়ে জীবনের এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছেন স্বামী পরাগ ত্যাগী। তবে নিয়তি যেমনই হোক, সময় যতই অতিবাহিত হোক- কিছু ভালোবাসা চিরকাল অমলিন ও অক্ষত থাকেই। সেই ভালোবাসার জীবন্ত দৃষ্টান্ত হয়ে আছে স্ত্রী শেফালির প্রতি পরাগের অটল ভালোবাসা।
দিনটা ছিল ২৭ জুন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আকস্মিকভাবে প্রয়াত হন শেফালি। ভক্তরা এই শোক কিছুটা কাটিয়ে উঠলেও এই ধাক্কা স্বামী পরাগের জন্য মাথায় বজ্রপাতের মতো হয়ে আসে। সারাদিন ব্যস্ততায় কাটিয়ে দেওয়া পরাগের সংসারের সেই চোখের মণি এভাবে হারিয়ে যাবে, সেটা যেন দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করেননি স্বামী। তাই তো তার বিদায়ের পর শেফালির প্রতিটি মুহূর্তের স্মৃতি ও তার আত্মাকে যেন বারবার অনুভব করতে চেয়েছেন পরাগ; যা বার বার উঠে এসেছে আলোচনায়, শিরোনামে।
৫২ দিন কেটে গেছে, তবে পরাগের ঘরে আর বিচরণ নেই শেফালির। এদিকে ১২ আগস্ট ছিল তাদের ১১তম বিবাহবার্ষিকী; এটাই শেফালিকে ছাড়া প্রথম বিবাহবার্ষিকী পরাগের। যদিও পারাপারে চলে গেছেন প্রিয় মানুষটি, কিন্তু হৃদয়ের কোটরে তো আছেন; তাই তার স্মৃতি ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।
সেই আবেগকে আরেক ধাপ এগিয়ে এবার শেফালির মুখাবয়ব নিজের বুকে খোদাই করেছেন পরাগ। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে পড়েছে সেই ভিডিও, যেখানে দেখা যায় তার বুকের বাঁদিকে ট্যাটু করা স্ত্রীর ছবি।
শেফালির রেখে যাওয়া স্মৃতি আঁকড়ে, আদরের পোষ্য সিম্বাকে নিয়ে কোনোভাবে দিন কাটাচ্ছিলেন পরাগ। কিন্তু স্ত্রীকে নিজের থেকে আলাদা করে রাখতে হয়তো তার মন সায় দিচ্ছিল না; তাই শেফালির মুখাবয়ব নিজের বুকে খোদাই না করে পারলেন না স্বামী।
২০১৪ সালের ১২ অগস্ট বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন শেফালি এবং পরাগ। গত ১১তম বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রীর একটি শেষ ইচ্ছে পূরণ করেন তিনি, যেটি শেফালির জীবদ্দশায় করতে পারেননি। মূলত, শেফালির ইচ্ছে ছিল নিজের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তৈরি করবেন; আর তাই করিয়ে দেখিয়েছেন পরাগ। সেই সংস্থাটির নাম- ‘শেফালি জরিওয়ালা রাইজ ফাউন্ডেশন ফর গার্লস এডুকেশন অ্যান্ড উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট।’
এমকে/টিকে