চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই তিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে সোমবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে সাক্ষাৎ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এই সফর ও বৈঠককে বিশ্বের অন্যতম বড় দুই অর্থনীতির মধ্যে দীর্ঘ তিক্ত সম্পর্কের অবসানের ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াং ইয়ের এ সফর চীনের সঙ্গে চিরবৈরী ভারতের সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ এটি তিন বছর পর তার প্রথম ভারত সফর।এ সফরের লক্ষ্য কেবল সীমান্ত বিরোধ সমাধানের প্রক্রিয়া ফের সচল করা নয়, বরং করোনা মহামারির শুরুতে বন্ধ হয়ে যাওয়া যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন ভিসা এবং সরাসরি ফ্লাইটও পুনরায় চালু করা। খবর এনডিটিভির।
এই দুই দেশের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কের খড়গের পর, ভারত এবং চীনের মধ্যে শীতল সম্পর্কের বরফ কিছুটা গলতে শুরু করে। ট্রাম্পের শুল্কের বিরুদ্ধে একযোগে ঘুরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে ওয়াং ই বলেন, ‘এলিফ্যান্ট এবং ড্রাগনকে একসঙ্গে নাচানোই সঠিক পথ।’
তবে, ভারত-চীন সম্পর্কের সম্পূর্ণ পুনর্গঠন এবং সহযোগিতার জন্য পাকিস্তান ইস্যু সমাধান করতে হবে, কারণ ইসলামাবাদকে সমর্থন দিয়ে আসছে বেইজিং, বিশেষ করে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে।
এদিকে, ভারত এবং চীনের সহযোগিতা আরো শক্তিশালী করতে দুদেশের সীমান্ত বিরোধ এবং চীনের পাকিস্তানকে সমর্থন করার বিষয়টি সমাধান করা প্রয়োজন। তবুও, সাংহাই সহযোগিতা এবং ব্রিকস প্ল্যাটফর্মে সহযোগিতা চালিয়ে গেলে দুই দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের নেতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
এসএন