যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট গাউজে ইউরোপীয় মিত্র আর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসেছেন। সেখানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সশরীরে উপস্থিত না থাকলেও তার কথা ফিরে এসেছে বার বার।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাকে (পুতিন) দীর্ঘদিন ধরে চিনি, সবসময় তার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। আমার মনে হয় প্রেসিডেন্ট পুতিনও একটা সমাধান খুঁজতে চান। দেখা যাক।’
সংবাদমাধ্যম সিএনএন লিখেছে, ‘হোয়াইট হাউসে জড়ো হওয়া ইউরোপীয় নেতারা পুতিনের নাম কমই উচ্চারণ করেছেন। কিন্তু ট্রাম্প এমনভাবে কথা বলছিলেন, যেন তিনি পুতিনের পক্ষ নিয়েই আলোচনার টেবিলে বসেছেন।’
আসলে পুরো ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন রুশ নেতা; এবং ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ অনেকটাই তার ওপর নির্ভর করছে।
ট্রাম্প বলেছেন, ‘শিগগিরই রাশিয়া, ইউক্রেইন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় একটি বৈঠক হবে বলে তিনি আশা করছেন। বৈঠক হবে কি না, সেটা এখন প্রশ্ন নয়, প্রশ্নটা হল, বৈঠকটা কখন হবে।’
সিএনএন লিখেছে, এই ‘কখন’ প্রশ্নটা শুধু সময় নয়, আরও বড় বিষয়কে ইঙ্গিত করে। সেটাই দেখাবে, পুতিন আসলেই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে আলোচনায় আন্তরিক? নাকি কেবল সময়ক্ষেপণ করছেন?
আশাবাদী সুরে কথা বললেও ট্রাম্প সম্ভাব্য হতাশার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘হতে পারে যে শেষ পর্যন্ত এটা আর করাই গেল না। অন্যদিকে এটাও সম্ভব যে সত্যিই সেটা হয়ে যাবে। আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করতে হবে। এটাই একমাত্র করণীয়।’
ইউটি/টিএ