প্রতি বছর ১ লাখ কর্মী জাপানে পাঠানোর উদ্যোগ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের জাপান সেলের। পাশাপাশি জাপানে আগামী বছর ১০ হাজার শিক্ষার্থী নেওয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় আর্কাইভস ভবনে ‘জাপানে উচ্চশিক্ষা ও কর্মী প্রেরণের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা জানানো হয়।
সেমিনারে জানানো হয়, জাপানের শ্রম মার্কেট উন্মুক্ত হচ্ছে। শ্রমিকদের ন্যূনতম পাঁচ লাখ টাকা ঋণ দেবে ব্যাংক। প্রতি বছর ১ লাখ শ্রমিক জাপানে পাঠানোর উদ্যোগ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের জাপান সেলের। এছাড়া, যেসব রিক্রুটিং এজেন্সি ৬ মাসে লোক পাঠাতে পারবে না তাদের এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল হবে।
প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, দেশের লোকজন দক্ষ না হওয়ায় তারা বাইরে গিয়ে কম বেতনে কাজ করেন। এতে তারা নিজেদের খরচ চালাতে হিমশিম খান। ফলে তারা বাধ্য হয়ে বাড়তি আয়ের জন্য অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। এসব নিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো আমাদের সঙ্গে যখন কথা বলে আমরা তখন বিষয়টিতে খুব একটা গুরুত্ব দেই না।
তিনি বলেন, এতে বিদেশে কর্মী প্রেরণে আমরা অনেক পিছিয়ে পড়ি। নেপাল এখন কর্মী প্রেরণে আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছে। লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, আমি সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশের মন্ত্রীকে ফোন করি। তিনি আমাকে বলেন, আপনাদের দেশ থেকে যারা আসেন, তারা অনেক বেশি অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। মধ্যপ্রাচ্যের কোনো এক দেশের একজন মন্ত্রী বন্দিদের ২৫ শতাংশ বাংলাদেশের বলে আমাকে জানিয়েছেন।
জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী বলেন, যারা পরীক্ষা দিচ্ছেন তারা যেন পাশ করেন। তাহলে আমাদের সিট খালি থাকবে না। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেলে আরও আগ্রহী হবে। জাপান সরকারের সঙ্গে কথা বলে আমরা শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি পরিশোধ সহজ করেছি। তারা আগামী বছর ১০ হাজার শিক্ষার্থী নেওয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
ইউটি/টিএ