রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের নতুন চুক্তি নিয়ে আলোচনা কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থগিত রয়েছে বলে ইএসপিএনকে একটি সূত্র জানিয়েছে। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের প্রতিনিধিদের মতে, ক্লাবের সর্বশেষ প্রস্তাব গ্রহণ করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
২৫ বছর বয়সী ভিনিসিয়ুসের বর্তমান চুক্তি জুন ২০২৭ পর্যন্ত বহাল রয়েছে, যেখানে বোনাসসহ তার বার্ষিক আয় প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ ইউরো (১৯.৮ মিলিয়ন ডলার)।
গত মে মাসে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনায় কিছুটা অগ্রগতি হয়েছিল। তখন ইএসপিএনের কিছু সূত্র জানিয়েছিল, সমঝোতা শিগগিরই হতে পারে বলে তারা মনে করেছিলেন।
ভিনিসিয়ুসের বেতন স্থায়ীভাবে বছরে ২ কোটি ইউরো করার আশা করেছিলেন তার প্রতিনিধিরা, যেখানে অতিরিক্ত ভেরিয়েবলের মাধ্যমে সেই অঙ্ক ৩ কোটি ইউরো পর্যন্ত যেতে পারত।
তবে সূত্র জানিয়েছে, ক্লাবের চূড়ান্ত প্রস্তাব ছিল শুধু ২ কোটি ইউরো। অতিরিক্ত কোনো বোনাস দিতে রাজি হয়নি ক্লাবটি।
যে কারণে ভিনিসিয়ুসের প্রতিনিধি দল মনে করছে, প্রস্তাবিত বেতন বৃদ্ধি খুবই নগণ্য, যা ২০৩০ সাল পর্যন্ত তিন বছরের বাড়তি মেয়াদ বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট নয়।
তাই ভিনিসিয়ুসের এজেন্ট ফ্রেড পেনা ও থ্যাসিলো সোয়ারেস অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা দেখতে চান ২০২৫-২৬ মৌসুম কীভাবে এগোয় এবং কোচ জাবি আলোনসোর পরিকল্পনায় ভিনিসিয়ুসের ভূমিকা কী থাকে, তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন।
বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, আলোনসো জুলাইয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের (পিএসজি) বিপক্ষে ম্যাচে ভিনিসিয়ুসকে বেঞ্চে বসানোর কথা ভেবেছিলেন এবং দুই ফরোয়ার্ড নিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড হঠাৎ বাদ পড়ায় পরিকল্পনা বদলে ব্রাজিলিয়ান তারকাকেই দলে নেন তিনি।
ওই ম্যাচে ফেদেরিকো ভালভার্দেকে ডানপাশের ডিফেন্ডার হিসেবে খেলানো হয়, আর গঞ্জালো গার্সিয়া ও কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে একাদশে জায়গা ধরে রাখেন ভিনিসিয়ুস।
ভিনিসিয়ুসের চুক্তি নবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয় গত ফেব্রুয়ারিতে, যদিও তখনও তার দুই বছরের চুক্তি বাকি ছিল।
গুঞ্জন আছে, সৌদি প্রো লিগ থেকে ভিনিসিয়ুসকে নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তবে ইএসপিএনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি থেকে আগ্রহ এখন অনেকটাই কমে গেছে।
একটি সূত্র জানায়, গত ডিসেম্বরের পর থেকে সৌদি আরবের ক্লাবগুলোর সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি ভিনিসিয়ুসের এবং তার প্রতিনিধিরাও সেই সম্ভাবনা বাতিল করে দিয়েছেন।
গেল বছর ব্যালন ডি’অর জেতার দৌড়ে রানার্স-আপ হয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস এবং একই বছর ফিফার দ্য বেস্ট পুরস্কার জেতেন।
তবে ২০২৪-২৫ মৌসুমে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের পারফরম্যান্স ছিল ওঠানামার। তিনি লা লিগায় ৩০ ম্যাচে মাত্র ১১ গোল করেছিলেন, আর রিয়াল মাদ্রিদ সেই মৌসুম শেষ করেছিল কোনো বড় শিরোপা ছাড়াই।
এমআর/টিকে