দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসান। তিনি ১৯৯৭ সালে বিয়ে করেন স্বনামধন্য মডেল, নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী সাদিয়া ইসলাম মৌকে। তাদের সংসারে দুই সন্তান রয়েছে। দাম্পত্যজীবন নিয়ে এক পডকাস্টে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন জাহিদ হাসান।
সেই সাক্ষাৎকারে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, দাম্পত্যজীবনে কোনো দূরত্ব এসেছে কি না?
জবাবে জাহিদ হাসান বললেন, ‘আমরা ভালো আছি। যদিও একসঙ্গে কোথাও আসলেই যাই না। কারণ আমার শুটিং থাকে রাত করে। এত বছর শুটিংয়ের কারণেই একত্রে কোথাও যেতে পারিনি। যারা মন্তব্য করে, তারা হয়তো জানে না, আমার আপন ভাইয়ের বিয়েতেও আমি যেতে পারিনি। সেদিন আমার বিচ্ছু নাটকের শো ছিল বরিশালে। আমার জীবন এভাবেই শুরু হয়েছে।
শুটিংয়ের জন্য শিডিউল আগে থেকে নিয়ে রাখা হয়। এর মধ্যে হঠাৎ দাওয়াত এসে পড়ে। তখন আর সেই দাওয়াতে যাওয়া যায় না। আর এখন কোনো ক্লাবে গেলে আড্ডা ছেড়ে আসতে ইচ্ছা করে না। তাই অনুষ্ঠানগুলোয় মৌ একাই যায়। সে দেশে না থাকলে আমি যাওয়ার চেষ্টা করি।’
এই পডকাস্টেই নিজের সাবেক প্রেমিকার প্রসঙ্গও টেনে আনেন জাহিদ হাসান। অভিনেতা জানালেন, তার সাবেক প্রেমিকার কথাও জানেন মৌ। এ নিয়ে নাকি অনেক সময় তার সঙ্গে মজাও করেন অভিনেত্রী স্ত্রী।
জাহিদ হাসানের কথায়, ‘আমার পরিবারের সবাই আমার আগের সম্পর্কের কথা জানে। মৌ মাঝে মাঝে এটা নিয়ে মজা করে। আমাকে লেগপুলিং করে। একদিন হঠাৎ সে আমাকে বলল, এগুলো এভাবে ফেলে রাখো কেন, যত্ন করে রাখো। দেখি, তার হাতে অনেকগুলো চিঠি। ’
মৌয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগে এক অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল জাহিদ হাসানের। তারা একসঙ্গে কাজ করেছেন বেশ কিছু নাটকে। তার চিঠি এখনো বাড়িতে যত্ন করে রেখে দিয়েছেন জাহিদ। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর একত্রে আর কোনো কাজ করেননি তারা। এমনকি মাঝে মাঝে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা হলে পরস্পরের সঙ্গে কথাও বলেন না। তাকে নিয়ে এখন আর কোনো মন্তব্যও করতে চান না জাহিদ হাসান।
তিনি বলেন, ‘তাকে নিয়ে কিছু বললে অশ্রদ্ধা করা হয়। সেটা করতে চাই না। আমি তাকে একসময় ভালোবেসেছিলাম। আমার মতো সেও খুব ভালো আছে। এটাই বড় কথা। ’
এদিকে জাহিদ হাসান তার ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে একটি পোস্টও দিয়েছেন, তিনি লিখেছেন ‘আমরা ভালো আছি। কিছু মানুষ আছে যাদের সবসময় কিছু না কিছু বের করতে হয়। তাই তারা এমন গল্প বানায়। মৌ আমার সবকিছু দেখাশোনা করে। রান্না করে খাওয়ায়ও। সত্যি বলতে কী, আমি মায়ের মতো একটা স্ত্রী পেয়েছি।’
তার ভাষায়, ‘আমাদের কখনো ইগোর লড়াই হয় না। কারণ, মৌ আমার চেয়ে অনেক ভালো মানুষ। মানুষ যা বলে, সেটা একদিক দিয়ে ঠিকই। আমরা একসঙ্গে কোথাও খুব একটা যাই না। শুটিংয়ের ব্যস্ততার কারণেই এমনটা হয়।’
কেএন/টিএ