খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, খাদ্য নিয়ে কেউ যদি অনিয়ম বা দুর্নীতি করে তবে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে, এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুর ১টায় দিনাজপুর সার্কিট হাউসে রংপুর বিভাগীয় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি উপলক্ষে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্য উপদেষ্টা জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সারাদেশে ৫৫ লাখ পরিবার মাসে ৩০ কেজি করে চাল ৬ মাস পর্যন্ত পাবেন। এর মধ্যে ১০ লাখ উপকারভোগী রংপুর বিভাগে থাকবেন। প্রতিটি পরিবার যেন সুষ্ঠুভাবে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল পান, সে বিষয়ে জেলা প্রশাসন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চাল আমদানির জন্য নির্দিষ্ট কাউকে লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। যারা আবেদন করেছেন, যাচাই-বাছাই শেষে তাদের অনুমতি দেয়া হয়েছে। চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও আমদানির অনুমতি দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি উল্লেখ করেন, রংপুর অঞ্চল দেশের খাদ্যভান্ডার হিসেবে পরিচিত। এবছরও সরকারের সংগ্রহ অভিযান শতভাগ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশে চালের বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে শুধু মানুষের খাদ্য হিসেবেই নয়, অন্য খাতেও চাল ব্যবহার হয়। ফলে উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা জরুরি।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, লাইসেন্সবিহীনভাবে খাদ্য মজুদকারীদের বিরুদ্ধে সরকার সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পাশাপাশি, লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে যারা খাদ্য মজুদ করবেন তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. আবুল হাছনাত হুমায়ুন কবীর, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম, ৮ জেলার জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও জেলা খাদ্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কেএন/টিএ