এক দশকের মিডিয়া ক্যারিয়ার নাজিফা তুষির। সৌন্দর্য ও মেধার যোগসূত্র হলে যে ভালো কিছু হয়, তার প্রমাণ তিনি দিয়েছেন অনেক আগেই। রূপালি পর্দা ও ওটিটিতে নিজেকে তিনি তুলে ধরেছেন নানা অবয়বে। তার রুপের প্রশংসায় মত্ত থাকেন ভক্তরা।
তবে তুষির মতে, বাস্তবে কেউ তার রুপের প্রশংসা করেন না।
সম্প্রতি দেশের এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথোপকথনে ক্যারিয়ার ও ব্যক্তি জীবন নিয়ে কথা বলেন তুষি। সেখানেই উঠে আসে নানা প্রসঙ্গ। সৌন্দর্যের প্রশংসা কেমন পান, এমন প্রশ্নের উত্তরে তুষি বলেন, ‘আমার সৌন্দর্যের কেউ প্রশংসা করে না।
অডিয়েন্স প্রশংসা করে। আমাকে কেউ সামনাসামনি বলেনি আমি অনেক সুন্দর। এমনটা শুনিনি। তবে এটা বুঝতে পারি, কেউ সুন্দর বলতে চায়।
এগুলো আমি মাথায় নিই না। কারণ, আমার কাছে মনে হয় না আমি অনেক সুন্দর। যতটা প্রেজেন্টেবল থাকা দরকার, ততটা আছি। আর সৌন্দর্যের শেষ নেই। কত সুন্দর সুন্দর মানুষ আছে পৃথিবীতে।
সৌন্দর্য নিয়ে নিজের দৃষ্টিকোণ শেয়ার করে তুষি বলেন, ‘একটা মানুষের কাজ, আচরণ বা ব্যক্তিত্ব সবার আগে আমাকে আকর্ষণ করে। একটা মানুষ কতটা মেধাবী, তার পরিশ্রমের ডেডিকেশন কতটা, আউট অব বিউটি থেকে ইনার বিউটি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’
সৌন্দর্যের দিক থেকে দেশের পুরুষ অভিনয়শিল্পীদের চেয়ে নারীদের এগিয়ে রাখলেন তুষি। তার ভাষ্যমতে, ‘আমার কাছে মনে হয়, আমাদের দেশের মেল অ্যাক্টরদের থেকে ফিমেল অ্যাক্টররা অনেক বেশি সুন্দর। কাজের জায়গায় এরা সৎ। আমাদের দেশের মেয়েরা শিক্ষায়, পরিশ্রমে, ডেডিকেশন, সততায় ছেলেদের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে। আমরা যে সোসাইটি বিলং করি, সেখানে ছেলে অ্যাক্টররা অভিনয়ে, রেমুনারেশনে আমাদের ডমিনেট করে। ছেলেরা যে অনেক বেশি ডিসিপ্লিনড, তা নয়। যখন একটা ছেলের পরিচিতি বাড়ে, তখন সে পারিশ্রমিক বাড়িয়ে দেয়, ভালো চরিত্র পায়। কিন্তু একটা মেয়ের ক্ষেত্রে ভালো চরিত্র পাওয়া কঠিন। সব মিলিয়ে আমি ইন্ডাস্ট্রির ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের এগিয়ে রাখব।’
অল্প সময়েই জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও তুষি কাজ করেন বেছে বেছে। সামনে অভিনেত্রীকে দেখা যাবে ‘রইদ’–এ। এছাড়া ‘রঙ্গমালা’র কিছু শুটিং বাকি রয়েছে। সেটা অক্টোবরে শেষ করবেন বলেই জানিয়েছেন তুষি। আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদেরের একটি সিরিজেও দেখা মিলবে তার।
এসএন